বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিজিএমইএ) সভাপতি সামিম আহমেদ বলেছেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকটের কারণে গত দেড় বছরে প্লাস্টিক শিল্পের ৬ হাজার কারখানার মধ্যে প্রায় ২০ শতাংশ কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব কারখানার অধিকাংশ বন্ধ হয়ে গেছে, বাকিগুলো বন্ধের পর্যায়ে রয়েছে।গতকাল রাজধানীর পল্টন টাওয়ারে বিপিজিএমইএ কার্যালয়ে প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ বাজেটের ওপর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় সংগঠনের সাবেক সভাপতি এবং বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বিপিজিএমইএ সভাপতি বলেন, কভিড-১৯ সময়ে আমাদের শিল্প ক্ষতির মুখে পড়েছিল। অনেক কারখানা বন্ধ হয়েছিল। পরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীনও বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। এখন নতুন করে আবার কভিড শুরু হয়েছে। এর মধ্যে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ আরও শঙ্কা তৈরি করেছে। যুদ্ধের ফলে এলএনজিসহ অন্যান্য কাঁচামাল আমদানির খরচ বাড়বে। এতে আবারও দেশের প্লাস্টিক খাত ক্ষতির মুখে পড়বে।
তিনি আরও বলেন, প্লাস্টিক শিল্প দেশের একটি সম্ভাবনাময় খাত। এ খাতে দক্ষতা ও উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য যন্ত্রপাতি ও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। অথচ শুল্ক ও ভ্যাট জটিলতার কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান নতুন যন্ত্রপাতি আমদানিতে নিরুৎসাহিত হয়। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকটে বিগত দেড় বছরে প্লাস্টিক খাতের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান ক্ষতির মুখে পড়েছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সরকার যদি আমদানি যন্ত্রপাতিতে ১ শতাংশ শুল্ক সুবিধা দেয়, তবে খাতটি আরও প্রতিযোগিতামূলক ও বিকশিত হবে। একই সঙ্গে রপ্তানিও বাড়বে।