রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে গতকাল বৈঠক করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে। যুক্তরাষ্ট্র সময় বেলা ১টা ১৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা ১৫) বৈঠক শুরু হয়। রাত দেড়টায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বৈঠক চলছিল। বৈঠকের ফলাফল নিয়ে ইউক্রেনের মিত্রপক্ষের মধ্যে রয়েছে ধোঁয়াশা। সূত্র : রয়টার্স, বিবিসি, সিএনএন
খবরে বলা হয়, যুদ্ধ বন্ধের প্রশ্নে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মূলত চেয়েছেন ইউক্রেন পূর্বাঞ্চলের দনবাস অঞ্চল ছেড়ে দিক। গত শনিবারই ট্রাম্প জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ফোনালাপে এ বিষয়ে কথা বলেন। এরপরই জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানান তিনি। এরপর ইউরোপীয় নেতাদের পক্ষ থেকে বার্তা দেওয়া হয়, তাঁরা জেলেনস্কিকে একা ছাড়বেন না। সে অনুযায়ী, ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের সময় জেলেনস্কির সঙ্গে থাকার ঘোষণা দেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন দের লিয়েন, ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুট, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ মেয়ার্জ, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার স্টাব এবং ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিও মেলোনি। এই অবস্থানের মধ্য দিয়ে ইউরোপীয় নেতারা একটি শক্ত রাজনৈতিক বার্তা দেওয়ার উদ্যোগ নেন। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা যায়, ট্রাম্প জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের পর ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গেও আলাদাভাবে বসবেন। ফলে ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠক এবং ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে পর্যবেক্ষকদের মধ্যেও একধরনের ধোঁয়াশা কাজ করছিল। বৈঠকগুলো হওয়ার পর আজ এ বিষয়ে সবকিছু অনেকটা পরিষ্কার হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে বসার আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, যুদ্ধ বন্ধ করা কোনো বিষয় নয়। জেলেনস্কি চাইলেই মুহূর্তের মধ্যেই যুদ্ধ বন্ধ হতে পারে। তবে এজন্য তাঁকে ক্রিমিয়া ফেরত পাওয়ার আশা ও পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগদানের স্বপ্ন ত্যাগ করতে হবে। নিজের ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি চাইলে মুহূর্তের মধ্যেই রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করতে পারেন অথবা লড়াই চালিয়ে যেতে পারেন। ট্রাম্প উল্লেখ করেন, ‘মস্কোর সঙ্গে আলোচনার অংশ হিসেবে ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দিতে দেওয়া হবে না এবং রাশিয়া-অধিকৃত ক্রিমিয়া পুনর্দখলের সুযোগও দেওয়া হবে না।’ এই পোস্ট দেওয়ার এক মিনিট পরই ট্রাম্প আবার লেখেন, একসঙ্গে এতজন ইউরোপীয় নেতাকে হোয়াইট হাউসে স্বাগত জানানো তাঁর জন্য ‘অনেক সম্মানের’।