এবার আফ্রিকার দরিদ্রতম রাষ্ট্র দক্ষিণ সুদানে জরুরি মানবিক সহায়তা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। দেশটি বর্তমানে ভয়াবহ রাজনৈতিক অস্থিরতা, কলেরা প্রাদুর্ভাব ও তীব্র খাদ্য সংকটে ভুগছে। অথচ গাজার মানুষকেই অনাহারে মারছে ইসরায়েলি বাহিনী ও তাদের সরকার। দিনের পর দিন ত্রাণ বহর ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে।
সোমবার ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সা’র এক বিবৃতিতে বলেন, দক্ষিণ সুদানে চলমান ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতির কারণে আমরা ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য দ্রুত সহায়তা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
সরকারি ঘোষণায় জানানো হয়েছে, এই সহায়তার মধ্যে থাকবে রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ, পানি বিশুদ্ধকরণ সরঞ্জাম, গ্লাভস ও মাস্ক, বিশেষ হাইজিন কিট এবং খাদ্যসামগ্রী।
গত সপ্তাহে ইসরায়েলের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী শ্যারন হাস্কেল রাজধানী জুবা সফর করেন। এর আগে গণমাধ্যমে গুঞ্জন ওঠে যে গাজা উপত্যকা থেকে ফিলিস্তিনিদের দক্ষিণ সুদানে পুনর্বাসনের বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে। তবে দক্ষিণ সুদান এই দাবি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
এদিকে জাতিসংঘ-সমর্থিত বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, গাজায় ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ তৈরি হচ্ছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল সীমিত আকারে ত্রাণ ঢুকতে দিচ্ছে এবং বহু কনভয় পথে লুটপাটের শিকার হয়েছে।
মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল অভিযোগ করেছে, ইসরায়েল গাজায় ইচ্ছাকৃতভাবে ক্ষুধার নীতি প্রয়োগ করছে এবং পদ্ধতিগতভাবে ফিলিস্তিনিদের সামাজিক জীবন ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ধ্বংস করছে। তবে ইসরায়েল এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। সূত্র: আরব নিউজ
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল