ঢাকার আশপাশে মব জাস্টিস কমলেও দেশের বিভিন্ন এলাকায় এখনো অব্যাহত আছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। গতকাল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১২তম সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সভায় জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলা রেকর্ড, সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, মব সৃষ্টিকারী ও ছিনতাই-চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের জামিনসহ নানান বিষয়ে আলোচনা হয়। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচনের আগে আমরা পুলিশে ১৫ হাজার ৮৫১ জন সদস্য নিয়োগ দিয়েছি। এ ছাড়া বিজিবিতে ৪ হাজার ৪৬৯, আনসারে ৫ হাজার ৫৫১, কারায় ১ হাজার ৫৫৮, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে ২০৮ জন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সব নতুন নিয়োগ। এসব পদের মধ্যে কিছু সৃজিত এবং কিছু শূন্য। পুলিশের এসব নিয়োগ সাব ইন্সপেক্টর থেকে কনস্টেবল পর্যন্ত। এ ছাড়া আনসার ও বিজিবির ক্ষেত্রেও কনস্টেবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা চাই মব জাস্টিসটা যতটা কমিয়ে আনা যায়। কয়েক দিন আগে রংপুরে একটা মব জাস্টিস হয়েছে। ঢাকায় মব জাস্টিস কমলেও আশপাশে মব জাস্টিস কিছু হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি এটা যতটা কমিয়ে আনা যায়।’ ১৫ আগস্ট ঘিরে ফুল দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ফুল দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল কি না জানি না। আমাদের নির্দেশনা হলো কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সে বিষয়ে খেয়াল রাখা।’ মাইটিভির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলার ঘটনায় বাদী বলেছেন এ ঘটনায় তাঁর সম্পৃক্ততা নেই। তবু কেন তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে-এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, ‘এ বিষয়ে আদালতকে জিজ্ঞাসা করেন। পুলিশের গ্রেপ্তার করা অবৈধ হলে কোর্ট তাঁকে ছেড়ে দেবেন। আদালত কারও কথা শোনেন না। তাঁরা তো স্বাধীন।’ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা চাই সাধারণ মানুষ বা নির্দোষ জনগণ কোনোভাবেই যেন হয়রানির শিকার না হয়। যে দোষী সে কোনো অবস্থায় ছাড় পাবে না। আমরা সব সময় চুনোপুঁটিগুলো ধরি। বড় রুই সব সময় ছাড়া পেয়ে যায়। বড় একটা ধরা পড়েছে, এখন আপনারা সবাই লেগে গেছেন। চুনোপুঁটি সম্পর্কে কেউ কিছু বলছেন না।’