গাইবান্ধার সদর উপজেলার পিয়ারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে স্কুল চলাকালীন সহকারী শিক্ষক রাজিব সুলতানকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয়ের কারিগরি শাখার সহকারী শিক্ষক জোবায়দুল ইসলাম ও আব্দুল হাইয়ের বিরুদ্ধে।
মারধরের স্বীকার শিক্ষক রাজীব সুলতান ওই বিদ্যালয়ের ভৌত বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক। সোমবার দুপুরে প্রধান শিক্ষক রুস্তম আলী মন্ডলের উপস্থিততে এ ঘটনা ঘটে।
বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক ও শিক্ষিকারা জানান, স্টাফ রুমে দশম শ্রেণির ক্লাশ সম্পর্কে এক শিক্ষকের প্রশংসা করায় এতে অন্য সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে বিদ্যালয়ে ক্লাশ চলাকালীন কারিগরি শাখার সহকারী শিক্ষক জোবায়দুল ইসলাম ও আব্দুল হাই প্রধান শিক্ষকের উপস্থিতিতে বিদ্যালয়ের স্টাফ রুমে রাজীব সুলতানকে বেধরক মারধর করে জখম করে। একপর্যায়ে রাজীব সুলতান অসুস্থ হলে অন্যান্য সহকারী শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান। বর্তমানে তিনি গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শিক্ষকদের মধ্যে বিদ্যালয়ে মারধরের ঘটনায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষুদ্ধ হলে কৌশলে সহকারী শিক্ষক আব্দুল হাই পালিয়ে যান এবং সহকারী শিক্ষক জোবায়দুল ইসলামকে শিক্ষার্থীরা অবরুদ্ধ করে রাখেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করলে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার গিয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। পরে গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশ অবরুদ্ধ সহকারী শিক্ষক জোবায়দুল ইসলাম ও প্রধান শিক্ষককে থানায় নিয়ে আসেন।
ওই বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী জান্নাতুল মাওয়া ফিহা বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে যদি শিক্ষকরাই মারপিট করেন, তাহলে আমরা এখানে কী শিখবো। আসলে আমাদের এখানে শিক্ষা তো হয় না, বরং শিক্ষকদের ঘটনা এখানে অহরহ হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুস্তম আলী মন্ডল জানান, মারধরের ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত। এ ব্যাপারে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি।
এ ব্যাপারে গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর ইসলাম তালুকদার বলেন, সংবাদ পেয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে থানায় আনা হয়েছে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই