চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনে অনিবন্ধিত বা ওষুধ প্রশাসন কর্তৃক অনুমোদনবিহীন ওষুধ লেখা বন্ধে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ) গঠিত একটি কমিটি।
বৃহস্পতিবার বিএমইউ-এর ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. শাহিনুল আলমের কাছে জমা দেওয়া কমিটির লিখিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
বিএমইউ-এর মেডিকেল টেকনোলজি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবু হেনা চৌধুরীকে সভাপতি করে কমিটিতে সদস্য হিসেবে ছিলেন ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ডা. ইলোরা শারমিন ও উপ-রেজিস্ট্রার (আইন) ডা. আবু হেনা হেলাল উদ্দিন আহমেদ। সদস্যসচিব ছিলেন সহকারী পরিচালক (আইন) এডভোকেট তানিয়া আক্তার।
কমিটির দায়িত্ব ছিল অনিবন্ধিত ওষুধ, ভিটামিন, মিনারেল সাপ্লিমেন্ট ইত্যাদি চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রে লেখা হলে তা বিদ্যমান আইনের ব্যত্যয় হয় কিনা এবং হলে এর জন্য কী আইনি প্রতিকার বা শাস্তির বিধান রয়েছে তা নিরূপণ করে সুপারিশমালা তৈরি করা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে বিদ্যমান ওষুধ ও কসমেটিকস আইন-২০২৩ এবং বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০ অনুযায়ী অনিবন্ধিত ওষুধ প্রেসক্রিপশনে লেখা আইনের লঙ্ঘন হতে পারে। তাই এসব আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শাস্তির বিধানসহ একটি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণয়ন করা প্রয়োজন।
কমিটি আরও সুপারিশ করে যে, বিদেশ থেকে আমদানি হওয়া ভিটামিন, মিনারেল সাপ্লিমেন্ট ও হেলথ কেয়ার প্রোডাক্টসমূহের নিবন্ধন ও অনুমোদন প্রক্রিয়া বাংলাদেশ ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর (উএউঅ) ও বিএসটিআই কীভাবে যাচাই করে, তা নিশ্চিত করতে হবে।
চিকিৎসকরা যেন সহজেই নিবন্ধিত ওষুধের তালিকা জানতে পারেন, সে জন্য https://dgda.portal.gov.bd এবং https:/ww/w.dgdagovt.info ওয়েবসাইটে প্রয়োজনীয় আইটি সুবিধা সংযোজনেরও প্রস্তাব করেছে কমিটি।
প্রতিকার হিসেবে কমিটি বলেছে, বিএমইউ চিকিৎসকদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য লিফলেট, সেমিনার ও সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করা উচিত। অনিবন্ধিত ওষুধ প্রেসক্রিপশনে লিখলে কী ধরনের শাস্তি হতে পারে তা জানাতে শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকদের অবহিত করতে হবে।
এছাড়া, বিএমইউ হাসপাতালের ইনডোর-আউটডোর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সব প্রবেশদ্বারে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড স্থাপন এবং প্রতিটি বিভাগে নিবন্ধিত ওষুধের তালিকা সরবরাহেরও সুপারিশ করেছে কমিটি।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত