সারা দেশে সব সরকারি কলেজে গতকাল থেকে একযোগে ‘নো প্রমোশন, নো ওয়ার্ক’ কর্মসূচি শুরু করেছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের পদোন্নতিবঞ্চিত প্রভাষকরা। তাদের অভিযোগ, ১২ বছর ধরে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের প্রভাষক পদে কর্মরত শত শত কর্মকর্তা পদোন্নতিবঞ্চিত।
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ৩২তম থেকে ৩৭তম ব্যাচ পর্যন্ত পদোন্নতিযোগ্য সব শিক্ষককে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির দাবিতে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার প্রভাষক পরিষদ বেশ কিছুদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে। সংগঠনটির অভিযোগ, সরকারি আদেশ জারির মুহূর্তে আটকে যাচ্ছে ১২ বছর ধরে পদোন্নতিবঞ্চিত শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার প্রভাষক পরিষদ জানায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বিতর্কিত বিধিমালা প্রণয়নকালে নেওয়া হয়নি আইন ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মতামত। অদৃশ্য জালে আটকা পড়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ‘২০০০ বিধি’ নামে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। বিতর্কিত এই বিধির ৬(৫) অনুযায়ী আত্মীকৃত শিক্ষকরা সব যোগ্যতা অর্জন করলে নিয়মিতকরণের মাধ্যমে তখন ক্যাডার কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রভাবশালী কর্মকর্তা ২০২৪ সালে একটি বিশেষ সময়ে ‘বিধিমালা ২০০০’ অমান্য করে একটি বিশেষ মহলকে সুবিধা দিতে ১২ বছর থেকে ৭ বছর পর একই তারিখ ও স্মারকে স্থলাভিষিক্ত করে ৫৪টি আদেশ জারি করেন। যা ২০১৮ বিধি এবং সচিবালয় নির্দেশমালারও সুস্পষ্ট লঙ্ঘন! বেসরকারি কলেজের শিক্ষক যখন শিক্ষা ক্যাডারের আত্মীকৃত হবে। এরপর তার ১৪টা ধাপ শেষ করে অ্যাডহক নিয়োগপ্রাপ্ত হবে কিন্তু বিধি লঙ্ঘন করে ৫৭টি আদেশে প্রায় ২ হাজার ৩০০ আত্মীকৃত শিক্ষক ক্যাডার হিসেবে জ্যেষ্ঠ হওয়ার অবৈধ সুযোগ পাবেন।