আশুলিয়ার নাসা গ্রুপের ১৬টি কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এর পরই গতকাল বকেয়া বেতন পরিশোধ ও কারখানা চালুর দাবিতে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা। পরে টিয়ার শেল ও জলকামান ব্যবহার করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশসহ ৩০ জন আহত হয়েছেন।
জানা গেছে, কারখানা স্থায়ী বন্ধের সিদ্ধান্তে নাসা গ্রুপের রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানা নাসা বেসিক, নাসা গ্লোবাল ও নাসা হাইটেকের ২৭ হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। এ ঘটনার জেরে শিল্পাঞ্চলজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। গতকাল সকাল থেকেই শ্রমিকরা তাদের পাওনা পরিশোধের দাবিতে বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। শ্রমিকদের ইটপাটকেলে আহত হন চার পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন। এ ঘটনার জেরে শিল্পাঞ্চলজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে উত্তেজনা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শিল্পাঞ্চলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর গত বছরের ২ অক্টোবর রাজধানীর গুলশান থেকে গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার। এরপর থেকেই তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোতে অসন্তোষ চলছিল। এরই মধ্যে কারখানা স্থায়ী বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন শ্রমিকরা।