জন্মের পর থেকেই শরীরের তুলনায় মাথা অস্বাভাবিকভাবে বড় হতে থাকে শিশু মুসলিমা আক্তারের। দারিদ্র্যের মধ্যে থাকা পরিবারটি দ্রুতই গভীর দুশ্চিন্তায় পড়ে। সন্তানের চিকিৎসার জন্য যা কিছু সম্পদ ছিল, সবই ব্যয় হয়ে যায় বিভিন্ন হাসপাতালে দৌড়ঝাঁপ করতে গিয়ে। চিকিৎসার অভাব, অনাহার আর চরম মানবেতর জীবন যেন তাদের নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়ায়।
এমন সংকটে অসহায় পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়েছে জামালপুরের সরিষাবাড়ী বসুন্ধরা শুভসংঘের সদস্যরা। সোমবার দুপুরে তাদের হাতে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে তুলে দেওয়া হয়েছে। অসুস্থ মুসলিমা আক্তার জামালপুরের সরিষাবাড়ি পৌর এলাকার ফুলবাড়িয়া গ্রামের মুনজুর রহমান ও বীনা বেগম দম্পতির মেয়ে।
শিশুটির মা বীনা বেগম জানান, দুই সন্তানের পর ৪ বছর আগে অস্বাভাবিক মাথা বৃদ্ধির রোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করে মুসলিমা। স্বামী ভ্যান চালিয়ে অতিকষ্টে সংসার চালান। অসুস্থ মেয়েকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। ধার-দেনা করতে চাইলেও কেউ আর দেয় না। অর্থের অভাবে কোনো চিকিৎসা করাতে পারছেন না।
বীনা বেগম আরো জানান, ডাক্তার অপারেশন করাতে বলছে। অপারেশন ছাড়া আর কোনো চিকিৎসা নেই। চিকিৎসা করাতে অনেক টাকা লাগবে, এতো টাকা কই পাবো? এ দিকে সন্তান ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বসুন্ধরা শুভসংঘের জন্য দোয়া কামনা করেন।
বসুন্ধরা শুভসংঘের উপজেলার উপদেষ্টা রবিউল ইসলাম বলেন, সারা দেশে বসুন্ধরা শুভসংঘ ভালো কাজ করে যাচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় অসুস্থ শিশু সন্তানের পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হলো। এ সময় তিনি সমাজের বিত্তশালীদের শিশুটির চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
খাদ্য সামগ্রী বিতরণের সময় উপজেলা বসুন্ধরা শুভসংঘের উপদেষ্টা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক রবিউল ইসলাম, কালের কণ্ঠের সরিষাবাড়ী উপজেলার প্রতিনিধি ও বসুন্ধরা শুভসংঘের উপদেষ্টা মমিনুল ইসলাম কিসমত, উপজেলা বসুন্ধরা শুভসংঘের সভাপতি জাকারিয়া আহমেদসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/এমই