ক্রিকেটে ব্যাট ও বলে দক্ষতা দেখানোর পর বাংলাদেশ হেরে গেলে বলা হতো সাকিব আল হাসান একা আর কত করবেন? তাকে মনে হয় উইকেট কিপিংয়ের দায়িত্বও নিতে হবে। কেননা, অনেক সময় উইকেট কিপাররা সহজ ক্যাচ বা স্ট্যাম্প আউট করতে পারতেন না। সাকিব বাংলাদেশ কেন তিনি ছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ফুটবলেও হামজা দেওয়ান চৌধুরী জাতীয় দলে ছয় ম্যাচ খেলেই অলরাউন্ডার হয়ে গেছেন। দেখা যাচ্ছে রক্ষণভাগ সামলাচ্ছেন, মধ্যমাঠ থেকে বল জোগান দিচ্ছেন। রাইট আর লেফট উইংয়ে খেলছেন। এমনকি দলের গোলগুলো তিনিই করছেন। সব পজিশনে খেলার পর তাহলে হামজার বাকি থাকল কী? একটা জায়গা হচ্ছে আর তা গোল কিপিং। সত্যিই বলতে কী মিতুল মারমা এখানে আস্থার পরিচয় দিতে পারছেন না। শেষের দিকে এসে তার ভুলের কারণেই গোল খেয়ে বাংলাদেশ জয় বঞ্চিত হচ্ছে। নেপাল, সিঙ্গাপুর, হংকংয়ের বিপক্ষে একই দৃশ্য দেখা গেছে। প্রতিপক্ষের আক্রমণে পজিশন ভুল করছে বলেই মিতুল মারমা গোল খাচ্ছেন এমনটিই বলেছেন জাতীয় দলের সাবেক তারকা ফুটবলার বিপ্লব ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘একজন গোলরক্ষকের খারাপ সময় যেতেই পারে। তাকে তো পরিবর্তন করাও যেতে পারে। কোচ হাভিয়ের কাবরেরা কেন করছেন না তিনিই ভালো জানেন। সত্যিই বলতে কী আনিসুর রহমান জিকো গোল কিপিংয়ে যে আস্থার পরিচয় দিতেন, অন্যরা তা পারছেন না।’ বিপ্লব ঠাট্টার ছলেই বললেন, ‘হামজা তো সব পজিশনে এক্সপার্ট। যে অবস্থা দেখছি বিপর্যয়ের সময়ে তাকেও গোলরক্ষকের পজিশনে দাঁড়ানো হতে পারে। হামজা খুবই উঁচুমানের খেলোয়াড়। ওর প্রতি আমরা এতটা নির্ভর হয়ে পড়েছি ফুটবল যেন একজনের খেলায় পরিণত হয়েছে।’