জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত ডাক্তারকে ‘আপু’ বলায় মেজাজ হারান এক ডাক্তার। আপু শব্দটি শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে ডাক্তার বলেন, আপু বলছেন কেন, আমি মেডিকেল অফিসার। এ সময় তিনি রেগেমেগে সেবা নিতে আসা রোগী ও তার স্বজনকে জরুরি বিভাগ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার শেরপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসকের কক্ষে। ডাক্তারের নাম মারজিয়া খাতুন। ভুক্তভোগী রোগীর অভিভাবক শহরের নয়নী বাজার মহল্লার কাজী মাসুম জানান, দুপুর ২টার দিকে তার ছোট মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস মামিয়া প্রচণ্ড পেট ব্যথা হলে তাকে নিয়ে তিনি সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসেন। এ সময় কর্তব্যরত অনন্যা নামে এক ডাক্তার তাকে জরুরি কিছু ওষুধ লিখে দেন। ওষুধগুলো হাসপাতালে না পেয়ে বাইরের বিভিন্ন দোকানে খোঁজাখুঁজির পর একটি ওষুধ পাওয়া যায়নি। তিনি তখন আবার হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যান। তখন সেখানে দায়িত্বে ছিলেন ডাক্তার মারজিয়া খাতুন। তাকে তিনি বলেন, আপু এই ওষুধটা পাওয়া যাচ্ছে না। বিকল্প একটি ওষুধ লিখে দেন। ‘আপু’ শব্দটি শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ডাক্তার মারজিয়া। তিনি বলেন, ‘আপু বলছেন কেন, আমি মেডিকেল অফিসার। এ সময় তিনি চিকিৎসা নিতে আসা মেয়েসহ তার বাবাকে জরুরি বিভাগ থেকে রেব হয়ে যেতে বলেন। হতভম্ব অভিভাবক ডাক্তারকে বলেন, আপু ডেকে তো দোষ করেনি। কিন্তু এতে ডাক্তার আরও রাগান্বিত হয়ে দফায় দফায় তাকে ধমক দিতে থাকেন এবং বারবার রুম থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। এ সময় জরুরি বিভাগে উপস্থিত অন্য রোগী ও তার অভিভাবকরা প্রতিবাদ করেন। সবাই একই অভিযোগ তোলেন ওই ডাক্তারের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে হাসপাতালের আরএমও ডাক্তার তাহেরাতুল আশরাফির সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি, হয়তো ভুলক্রমে তিনি এ কথা বলেছেন।
আমাদের অফিশিয়ালি অভিযোগ বা সরাসরি কথা বললে শনিবার আসতে হবে। তবে মিউচ্যুয়াল করতে চাইলে ডা. মারজিয়া খাতুনের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পারেন। শেরপুরের কয়েকজন সংবাদকর্মী সরাসরি ওই ডাক্তারের কক্ষে কথা বলতে গেলে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ছাড়া কারও সঙ্গে কোনো কথা বলব না জানিয়ে দেন।