বগুড়ায় আফিয়া আকতার শম্পা (১৯) নামের এক নববধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার রাত ৮টার দিকে শহরের কৈইপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় এলাকাবাসী শম্পার স্বামী রিয়াজুল জান্নাতকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে।
নিহত শম্পা কাহালু উপজেলার মুরইল পোড়ামারা গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে প্রায় এক মাস আগে শম্পা বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে রিয়াজুলের সঙ্গে বিয়ে করেন। বিয়ে হওয়ার পর তারা কৈইপাড়ায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। কিছু দিনের মধ্যে যৌতুক দাবি ও নির্যাতনের কারণে পারিবারিক সহিংসতা শুরু হয়। স্বামী রিয়াজুল শম্পার বাবার কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা এবং একটি মোটরসাইকেল যৌতুক হিসেবে দাবি করলেও শম্পা তা দিতে অস্বীকার করেন। রবিবার রাতে স্বামী শম্পাকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করেন।
শম্পার চাচা বলেন, হত্যার ২০ মিনিট আগে শম্পা তার বাবাকে ফোন দিয়ে বলেছিল তার স্বামী তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করছে। তুমি আমাকে বাঁচাও। এরপর তারা কৈইপাড়ায় ওই ভাড়া বাড়িতে এসে দেখেন শম্পার লাশ পড়ে আছে। পরে স্বজনদের চিৎকার শুনে এলাকাবাসী এসে বাড়ির জানালার সাথে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় শম্পার লাশ দেখতে পান।
এলাকাবাসী শম্পাকে হত্যার অভিযোগে তার স্বামী রিয়াজুল জান্নাতকে আটক করে রাখেন। এরপর পুলিশে খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দেয়। সেইসাথে তার স্বামী রিয়াজুলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ হাসান বাসির জানান, এলাকাবাসী শম্পার মরদেহ জানালার গ্রিলের সাথে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় নামান। তার মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। মযনাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় স্বামী রিয়াজুল জান্নাতকে আটক করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/আশফাক