ট্রাভেল এজেন্সি নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ-২০২৫ বাতিলের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) সদস্য কল্যাণ ঐক্য জোট। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে মানববন্ধনের পর ঐক্য জোটের আহ্বায়ক মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন টিপুর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন।
স্মারকলিপিতে তারা ট্রাভেল এজেন্সি নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ-২০২৫ (সংশোধন)-এর অনুমোদিত খসড়া বাতিলের অনুরোধ জানান। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, এই অধ্যাদেশ কার্যকর হলে প্রায় ৫ হাজার ট্রাভেল এজেন্সি বন্ধ হয়ে যাবে, যার ফলে মালিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কর্মহীন হয়ে পড়বেন এবং খাতটি মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত হবে।
স্মারকলিপিতে অধ্যাদেশের বিভিন্ন ধারা ও উপধারার অসঙ্গতি, অযৌক্তিক আর্থিক শর্ত, অন্য এজেন্সির কাছ থেকে টিকিট ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধকরণ, লাইসেন্স হস্তান্তর সীমাবদ্ধতা, রিক্রুটিং এজেন্টদের অফিস পরিচালনায় বাধা, অতিরিক্ত শাস্তির বিধানসহ একাধিক বিষয়ে বিস্তারিত বক্তব্য তুলে ধরা হয়।
এর আগে মানববন্ধনে আটাব সদস্য কল্যাণ ঐক্য জোটের আহ্বায়ক মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন টিপু বলেন, নতুন অধ্যাদেশে যেসব সংশোধনী প্রস্তাব করা হয়েছে, তার অনেকগুলো বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। বিশেষ করে ধারা ৫-এ অন্য এজেন্সির কাছ থেকে টিকিট ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করলে সাধারণ ট্রাভেল এজেন্সিগুলো টিকে থাকতে পারবে না। দেশে যে ৫ হাজার এজেন্সি আছে, তাদের অধিকাংশেরই এয়ারলাইন্স থেকে সরাসরি টিকিট ইস্যুর সক্ষমতা নেই। আর অনলাইন ও অফলাইনের জন্য যে ১০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা জামানত রাখার কথা বলা হয়েছে, তা ছোট এজেন্সিগুলোর পক্ষে কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
সংগঠনের সদস্যসচিব মোহাম্মদ জুমান চৌধুরী বলেন, এই অধ্যাদেশ বাস্তবায়িত হলে শুধু প্রতিষ্ঠান নয়, পরিবারের ভবিষ্যৎও অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। অনেক প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক গ্যারান্টি সীমিত থাকার কারণে তারা বড় এজেন্সি থেকে টিকিট সংগ্রহ করে গ্রাহকদের সেবা দেন। এটিকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বানানো হলে সাধারণ ব্যবসায়ীদের পথ বন্ধ হয়ে যাবে।