সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দুবাইয়ে এয়ারশোতে ভারতীয় যুদ্ধবিমান তেজস বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনাকে ভারতীয় প্রতিরক্ষা শিল্পের জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে। বহু বছরের পরিশ্রমে তৈরি এ প্রকল্প এখন বিদেশে রপ্তানি সম্ভাবনার বদলে দেশীয় অর্ডারেই নির্ভর করতে বাধ্য হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও এ প্রকল্পটিকে ভারত নিজের তৈরি প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির সাফল্য হিসেবেই বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে চেয়েছিল। গতকাল এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। গত শুক্রবার দুবাইয়ে ভারতীয় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে এ দুবাই এয়ারশোতে ভারতের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানও অংশ নিয়েছিল। বিশ্লেষকদের মতে, এমন প্রকাশ্য দুর্ঘটনা চার দশকের পরিশ্রমে তৈরি তেজসের বৈদেশিক বিপণন ও রপ্তানির প্রচেষ্টাকে নিঃসন্দেহে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
দুবাইয়ের প্রদর্শনীতেই দুর্ঘটনা : মার্কিন মিচেল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ডগলাস এ. বার্কি বলেন, এ ধরনের দুর্ঘটনার ‘দৃশ্যপট খুবই কঠিন’। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যখন নিজেদের সামরিক সক্ষমতা দেখানোর চেষ্টা করে, তখন এমন দুর্ঘটনা একেবারে উল্টো বার্তা দেয়। আর তা হলো- ‘স্পষ্ট ব্যর্থতা’। তবে তার মতে, এ নেতিবাচক প্রচারণা সত্ত্বেও তেজস আবারও গতি ফিরে পাবে। ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকস লিমিটেড (হাল) দেশে ১৮০টি উন্নত এমকে-১এ তেজস সরবরাহের অর্ডার পেয়েছে। কিন্তু জিই অ্যারোস্পেসের ইঞ্জিন সরবরাহ-সংক্রান্ত সমস্যার কারণে এখনো ডেলিভারি শুরু করতে পারেনি তারা। হালের সাবেক এক কর্মকর্তা বলেন, দুবাইয়ের এ দুর্ঘটনা ‘এখনই রপ্তানির পথ বন্ধ করে দিল’। এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে তেজস যুদ্ধবিমান বিক্রির লক্ষ্য ঠিক করেছিল ভারত। এমনকি ২০২৩ সালে মালয়েশিয়ায় অফিসও খুলেছিল হাল। তার মতে, দুর্ঘটনার পর এখন অগ্রাধিকার হবে দেশীয় সরবরাহ বাড়ানো।