দেশে ২১ নভেম্বর সকালে ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এরপর আরও কয়েকটি হালকা ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ায় জনমনে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত না হয়ে করণীয় মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স।
গতকাল বিকালে এক বিজ্ঞপ্তিতে ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া সেল) শাহজাহান শিকদার এ তথ্য জানান। সংস্থাটি জানায়, ভূমিকম্প চলাকালীন সঠিক পদক্ষেপ নিলে প্রাণহানি ও ক্ষতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব। তারা যে সতর্কতাগুলো জরুরি ভিত্তিতে মেনে চলতে বলেছে, শান্ত ও স্থির থাকুন, ভূকম্পন অনুভূত হলে আতঙ্কিত না হয়ে স্থির থাকুন। ভবনের নিচতলায় থাকলে দ্রুত বাইরে বের হয়ে খোলা জায়গায় আশ্রয় নিন। বহুতল ভবনে থাকলে উৎড়ঢ়-ঈড়াবৎ-ঐড়ষফ পদ্ধতি অনুসরণ করুন : নিচু হোন, শক্ত টেবিল/ডেস্কের নিচে ঢুকে খুঁটি শক্ত করে ধরুন। অথবা কলামের পাশে, বিমের নিচে আশ্রয় নিন। সম্ভব হলে বালিশ, কুশন বা এ জাতীয় বস্তু দিয়ে মাথা ঢেকে রাখুন। লিফট ব্যবহার করবেন না। ভূমিকম্প চলাকালীন কখনো লিফট ব্যবহার করা যাবে না। ভূমিকম্প থামার পর দ্রুত গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করুন। ঝুঁকিপূর্ণ আসবাব ও ঝুলন্ত জিনিস থেকে দূরে থাকুন। বারান্দা, ব্যালকনি, জানালা, বুকশেলফ, আলমারি, ফ্যান বা ঝুলন্ত ভারী বস্তু থেকে দূরে থাকুন। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস যেমন- টর্চ, হেলমেট, জরুরি ওষুধ, বাঁশি হাতের কাছে রাখুন। বাইরে থাকলে খোলা স্থানে আশ্রয় নিন। গাছ, বৈদ্যুতিক খুঁটি, উঁচু ভবন বা দেয়ালের পাশে দাঁড়াবেন না। গাড়িতে থাকলে নিরাপদ স্থানে থামুন। ওভারব্রিজ, ফ্লাইওভার, গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে দূরে গাড়ি থামান। ভূকম্পন থামা পর্যন্ত গাড়ির ভিতরেই থাকুন। আবারও ভূমিকম্প হতে পারে। একটি ভূমিকম্পের পর আফটারশক হওয়া স্বাভাবিক। ক্ষতিগ্রস্ত ভবন, ব্রিজ বা দুর্বল স্থাপনার কাছে যাবেন না- এগুলো আরও ভেঙে পড়তে পারে। সচেতনতা ও সম্মিলিত প্রচেষ্টাই সুরক্ষা নিশ্চিত করে। ফায়ার সার্ভিস বলেছে, সবার দায়িত্বশীল আচরণেই বড় ক্ষতি কমানো সম্ভব। জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স হটলাইন : ১০২।