জেলার হাতিয়া উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নে ঘরে ঢুকে আমেনা বেগম (৫০) নামে এক নারীকে গলা কেটে হত্যার পর লাশ ফেলে দেওয়া হয়েছে পুকুরে।
বুধবার রাত ১০টার দিকে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের শতফুল গ্রামের সাইক্লোন শেল্টারসংলগ্ন মো. এমরান উদ্দিনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রাত সোয়া ২টার দিকে নিঝুমদ্বীপ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা লাশ উদ্ধার করেন। আমেনা বেগম মো. এমরান উদ্দিনের স্ত্রী। তিনি চার মেয়ে এবং দুই ছেলের মা।
নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আমিরুল মোমিন বাবলু জানান, আমেনা বেগমের স্বামী নিঝুমদ্বীপ বাজারে শুঁটকির ব্যবসা করেন। তাদের মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে, ছেলেরা জেলা শহর মাইজদীতে থেকে লেখাপড়া করছে। একা বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী দুজন বসবাস করে আসছেন। বুধবার সন্ধ্যায় এমরান বাড়িতে এসে দেখেন স্ত্রী নামাজ পড়ছেন। এরপর তিনি বাজারে চলে যান। স্ত্রী ঘরে একাই ছিলেন। বাবলু আরও জানান, রাত পৌনে ১০টার দিকে এমরান বাড়ি ফিরে দেখেন বসতঘরের দরজা খোলা, ঘরে স্ত্রী নেই। ঘরের মাঝের কক্ষে রক্ত। তাৎক্ষণিক তিনি বিষয়টি তাঁকেসহ স্থানীয় কয়েকজনকে মুঠোফোনে জানান। এরপর তার বাড়ি গিয়ে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে দেখতে পান আমেনার রক্তাক্ত লাশ পুকুরে ভাসছে।
ধারণা করা হচ্ছে, গলা কেটে হত্যা করে লাশ ঘরের পাশে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। নিঝুমদ্বীপ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল মান্নান বলেন, গলা কেটে ওই নারীকে হত্যা করা হয়েছে। রাত সোয়া ২টার দিকে পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় লাশ উদ্ধার করা হয়।