বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় নাগরিকদের পুশইনের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে দিল্লিকে কূটনৈতিক পত্র দিয়েছে ঢাকা। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, কোনোভাবে ভারতীয় নাগরিকদের জোর করে বাংলাদেশে পুশইন করাটা উচিত হবে না। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে এ ধরনের পুশইন অগ্রহণযোগ্য এবং তা পরিহার করা উচিত বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
গত ৯ মে কূটনৈতিক পত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশ এ প্রতিবাদ জানায়। চিঠিতে বলা হয়, পুশইনের পদক্ষেপ গভীর উদ্বেগের, যা চূড়ান্তভাবে সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপর প্রভাব ফেলছে এবং জনমনে নেতিবাচক মনোভাবও তৈরি করছে। পুশইনের পদক্ষেপ ১৯৭৫ সালের যৌথ ভারত-বাংলাদেশ নির্দেশিকা, সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (সিবিএমপি) ২০১১ এবং বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের আলোচনায় দুই পক্ষের পারস্পরিক সম্মত সিদ্ধান্তের পরিপন্থি। এতে আরও বলা হয়, কোনো ব্যক্তির বাংলাদেশি নাগরিকত্বের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর বিদ্যমান প্রক্রিয়া মেনে বাংলাদেশ তাদের ফেরত নেবে। এর ব্যত্যয় হলে দুই দেশের বোঝাপড়ার মধ্যে বিঘ্ন সৃষ্টি করবে। তবে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের বাংলাদেশের পরিবর্তে তাদের আদি নিবাস মিয়ানমারেই ভারতের ফেরত পাঠানো উচিত। এর আগে, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গাবিষয়ক হাই রিপ্রেজেনটেটিভ খলিলুর রহমান জানান, ভারত থেকে এভাবে পুশইন করা সঠিক প্রক্রিয়া নয়। সে দেশে কোনো বাংলাদেশি থাকলে তাদের ফরমাল চ্যানেলে পাঠাতে হবে।