ঈদযাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে র্যাব। একই সঙ্গে র্যাবের সাদা পোশাকের গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি স্ট্রাইকিং মোবাইল ফোর্স কাজ করবে বলে জানিয়েছেন র্যাব-৪-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মাহবুব আলম। গতকাল রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে তিনি এসব জানান।
মাহবুব আলম বলেন, ‘আমরা র্যাব সদর দপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক ঈদ নির্বিঘ্ন করতে তিন স্তরের নিরাপত্তা দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। প্রথম স্তরে বাসস্ট্যান্ড বা যেসব জনবহুল শপিং সেন্টার আছে সেসব স্থানে এবং এর আশপাশে আমাদের ২৪টি প্যাট্রোল টিম টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছে।’ তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় স্তরে বাসস্ট্যান্ড বা অন্য যেসব শপিং সেন্টার আছে যেখানে ছিনতাই বা অজ্ঞানপার্টি বা মলমপার্টি ধরনের চক্রগুলো সক্রিয় সেসব এলাকায় আমাদের সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত আছে এবং আমরা যে কোনো ধরনের তথ্য পেলে প্রাথমিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। তৃতীয় পর্যায়ে আমাদের কাছে স্ট্রাইকিং মোবাইল ফোর্স রিজার্ভ থাকছে, যেখানে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে কোনো স্থানে যদি অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়, বেশি ভাড়া আদায় করা ও চাঁদাবাজির কোনো সিন্ডিকেট যদি আমরা আইডেন্টিফাই করতে পারি অথবা অন্য কোনো পরিস্থিতি হয়, সে ক্ষেত্রে আমাদের স্ট্রাইকিং ফোর্স স্বল্প সময়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হবে। আপাতত এভাবেই আমাদের নিরাপত্তা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।’ লে. কর্নেল মো. মাহবুব আলম বলেন, ‘আমরা সবাই যাতে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারি সেজন্য সাধারণ মানুষের কাছে দুটি অনুরোধ থাকবে। আপনারা যখন ঢাকা থেকে আপনাদের নিজ বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেবেন তখন ঢাকায় আপনাদের যে আবাসস্থল আছে সেখানে আপনার পক্ষে যতটুকু সম্ভব ততটা আপনি নিশ্চিত করে যাবেন। আর দ্বিতীয়ত যেটা সেটা হচ্ছে পাবলিক ট্রান্সপোর্টে চলাচলের সময় কারও সঙ্গে যেন সখ্য না গড়ি অথবা অপরিচিত কারও কাছ থেকে কোনো কিছু না খাই। যেটার কারণে সাধারণত আমরা মলমপার্টি ও অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়ি। এ ব্যাপারে যেন আমরা সতর্ক থাকি। এ দুটি অনুরোধ আমাদের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের প্রতি থাকবে। আর তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঈদের আগে ও পরে আমাদের র্যাব এখনো মাঠে আছে। সব সময় মাঠে থাকবে।’