ভুট্টার দানা ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিস্তা চরের কৃষকেরা। আবহাওয়া প্রতিকূল হওয়ায় মাঠে ভুট্টার গাছ থেকে মোছা ছেড়ার পর সংরক্ষণা করছেন তারা। ভুট্টার দানা ঘরে তোলার এখনই উপযুক্ত সময়। ধান চাষের চেয়ে ভুট্টা চাষে দ্বিগুন লাভ হওয়ায় বর্তমান সময়ে অনেকেই ভুট্টা চাষেবাদে ঝুকে পড়েছেন।
ডিমলা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলায় ১৪ হাজার ৫ শত হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় এক লক্ষ ৮৪ হাজার মেট্্িরক টন। সরেজমিনে দেখা যায়, ডিমলা উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নের মধ্যে তিস্তা নদী বেষ্টিত ৮টি ইউনিয়নে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। এরমধ্যে ঝুনাাগাছ চাপানি, খালিশা চাপানি, টেপাখড়িবাড়ি, খগাখড়িবাড়ি,পূর্বছাতনাই, বালাপাড়া ও নাউতারা ইউনিয়ন। এসব ইউনিয়ন নদীবেষ্টিত হওয়ায় পলি ও বালু মাটি পড়ে জমির উর্বরতা বৃদ্ধির কারনে ভুট্টা চাষাবাদের জন্য উপযোগী বেশী। এ সব এলাকার জমি বেশী উর্বরতার কারনে প্রতি বিঘা জমিতে ৪০ থেকে ৪৫ মন ভুট্টার ফলন হয়ে থাকে ।
ঝুনাগাছ চাপানির ছাতুনামার চড়ের বাসিন্দা আক্কেল আলী বলেন,চলতি মৌসুমে ৫ বিঘা জমিতে ভুট্টা আবাদ করেছি, তার মধ্যে ৩ বিঘা জমির ভুট্টা ঘরে তুলেছি।বিঘা প্রতি জমিতে ভুট্টার ফলন পেয়েছি ৪৩ মণ করে।
বালাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সুন্দর খাতা গ্রামের আলি নেওয়াজ বলেন, এ বছর ৮ বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি। এবার আবহাওয়া প্রতিকূল থাকায় ভুট্টার ফলনও ভালো হয়েছে।
কৃষকেরা অভিযোগ করে বলেন, এবারে ভুট্টার ফলন ভালো হলেও বাজারে ভুট্টার দাম কম। গত বছর এই সময়ে প্রতিমন ভুট্টা বজার মূল্য ছিল ১২ শত থেকে ১৪ শত টাকা ।সেখানে এ বছর একই সময়ে প্রতিমন ভুট্টা ১ হাজার থেকে ১১ শত টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মীর হাসান আল বান্না বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবারে ভুট্টার আবাদ ভালো হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। বর্তমানে কৃষকেরা ভুট্টা ঘরে তুলতে ব্যস্ত। সঠিক সময়মত উন্নত জাতের ভূট্টা বীজ সরবরাহ করে জমিতে রোপনে নিয়মিত পরামর্শ, সময় মত সরবরাহ করে সার্বিক সহযোগিতা করেছে কৃষি দপ্তর।
বিডি প্রতিদিন/এএম