দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক থাকলেই যে কোনো ইরানি নাগরিককে ভোগ করতে হবে মৃত্যুদণ্ড। এমন বিধান রেখে গতকাল ইরানের পার্লামেন্টে নতুন একটি আইন পাস হয়েছে। তবে শুধু ইসরায়েল নয়, যে কোনো ‘শত্রু’ দেশের সঙ্গেও ইরানের কোনো মানুষ দেশবিরোধী যোগাযোগ রাখতে পারবে না। সে ক্ষেত্রেও ইরানি নাগরিকদের মৃত্যুদণ্ডের মতো কঠিন সাজা পেতে হবে আইনে বলা হয়েছে। এদিকে, ধনকুবের ইলন মাস্কের স্যাটেলাইট ইন্টারসেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটি।
নতুন আইনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে গোয়েন্দা কার্যক্রম চালানো, গুপ্তচরগিরি, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য শত্রু দেশের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক ‘পৃথিবীতে দুর্নীতির’ অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। যার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। আইনটিতে বিশেষভাবে ইসরায়েলের কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, যারা ইসরায়েলকে সামরিক, আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি ভোগ করতে হবে।
অপরদিকে স্টারলিংকসহ অন্যান্য অননুমোদিত ইন্টারনেট সেবার সরঞ্জাম ক্রয়, বিক্রি ও কাছে রাখা গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। কেউ এ ধরনের অপরাধে অভিযুক্ত হলে তাকে ছয় মাস থেকে দুই বছরের কারাদণ্ড পেতে হবে বলে আইনে উল্লেখ করা হয়েছে। আর যারা এসব নিষিদ্ধ যন্ত্রাংশ ১০টির বেশি উৎপাদন বা আমদানি করবে তাদের ৫ থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। এ ছাড়া কেউ যদি সামরিক ড্রোন তৈরি করে, সাইবার হামলা করে অথবা শত্রুদের জন্য ইরানি অবকাঠামোয় কোনো নাশকতামূলক কাজ করে তাকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। এমনকি যদি কেউ শুধু এ ধরনের কোনো চেষ্টা চালায়, তাকেই মৃত্যুদণ্ড পেতে হবে।
আইনে আরও বলা হয়েছে, যদি কোনো ইরানি মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ ও এ ধরনের কনটেন্ট তৈরি করে যেগুলো জনগণের মধ্যে বিভক্তি ও ভয় তৈরি করে এবং ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়’ তাদের ১০ থেকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। এ ছাড়া বিদেশি গণমাধ্যমকে কোনো ছবি বা ভিডিও পাঠালে সেগুলো যদি ইরানি জনগণের ‘মনোবল ক্ষতিগ্রস্ত করে’ তাহলে দুই থেকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। -ইরানওয়ার