সিরাজগঞ্জ শহরের একডালা গ্রামের খুশি সড়ক মধ্যপাড়া থেকে নাইয়াপাড়া হয়ে কাজীপুর নৌকাঘাট পর্যন্ত এলাকার রাস্তায় বছরজুড়ে জমে থাকে নোংরা পানি। সামান্য বৃষ্টিতেই পানি ঘরের দরজায় পৌঁছে যায়। শুকনো মৌসুমেও ড্রেনেজ ব্যবস্থা অকার্যকর থাকায় রাস্তাটি পঁচা পানিতে ভেসে ওঠে। এতে শিশু, বৃদ্ধ ও স্কুলগামী শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগের মুখে পড়ছে।
স্থানীয়রা জানান, রাস্তাটিতে দীর্ঘদিন ধরে পানি জমে থাকলেও কর্তৃপক্ষ কোনো স্থায়ী সমাধান নেয়নি। নর্দমা উপচে পড়ার কারণে রাস্তায় তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। কাদা পানিতে পথচারীরা প্রায়ই পড়ে গিয়ে আহত হচ্ছেন। শিশুদের স্কুলে যেতে কষ্ট হচ্ছে। বৃষ্টির মৌসুমে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। ঘরের কাছাকাছি নোংরা পানি ও কাঁদা চলে আসায় চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। এতে দৈনন্দিন কাজে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
এলাকায় পানি নিষ্কাশনের জন্যে ড্রেন থাকলেও তার গভীরতা অপ্রতুল। অনেক জায়গায় ড্রেন ভরাট হয়ে গেছে, কোথাও ভেঙে গেছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। ফলে বর্জ্য জমে পানি চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে রয়েছে। ড্রেনের পানি আরো দুর্গন্ধময় পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। অনেকে গর্ন্ধে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
এলাকার বাসিন্দা আশরাফুল ইসলাম জানান, রিকশা, ভ্যান বা মোটরসাইকেল কোনো যানবাহনই সহজে চলাচল করতে পারে না। বেশি ভাড়া দিলেও রিকশাওয়ালারা এলাকায় আসতে চায় না। বর্ষা মৌসুমে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও বেহাল দশা হয়ে পড়ে। পৌরসভায় বললেও কেউ এসে দেখে না।
স্থানীয় বাসিন্দা আকবরসহ অনেকে জানান, বছরের ১২ মাসই পানি জমে থাকে রাস্তায়। তাছাড়া ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করায় অল্প বৃষ্টিতেই ড্রেন উপচে পড়ে রাস্তায় পানি জমে যায়। ফলে রাস্তা সব সময় কাদাময় ও পিচ্ছিল অবস্থায় থাকে। যা শুধু চলাচলের অসুবিধাই নয়, জনস্বাস্থ্যের জন্যও বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তাদের অভিযোগ, সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয় যখন কেউ অসুস্থ হয়। এলাকায় কোনো অ্যাম্বুলেন্স বা গাড়ি সহজে ঢুকতে পারে না। সময় মতো গাড়ি পাওয়া যায় না। এতে গুরুতর রোগীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এ অবস্থায় এলাকাবাসী ড্রেনেজ ব্যবস্থা স্থাপন, বিদ্যমান ড্রেন গভীর করা এবং রাস্তা উঁচু করে নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন।
স্কুল ছাত্র মাহি জানান, নোংরা পানি পাড়ি দিয়েই যেতে হয় স্কুলে। অনেক সময় পিছলে পড়ে বই খাতা নষ্ট হয়ে যায়। আমাদের চলাচলে খুব কষ্ট হয়।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী নুরনবী সরকার জানান, পৌরসভার বিভিন্ন উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজ চলমান রয়েছে। তবে ওই এলাকাবাসী লিখিতভাবে আবেদন করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/আশফাক