যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলাকে কার্যত ঘিরে রেখেছে। টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে ক্যারিবীয় অঞ্চলে। অন্যদিকে সব ধরনের যুদ্ধ প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ভেনেজুয়েলা। তাই প্রশ্ন উঠছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প কি তবে ভেনেজুয়েলায় সরাসরি আক্রমণ করবেনই?
যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য সামরিক আগ্রাসনের আশঙ্কায় ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক জলসীমায় সন্দেহভাজন ভেনেজুয়েলার মাদকবাহী নৌকায় প্রাণঘাতী মার্কিন হামলার পরই এই উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
মাদুরো সোমবার এক টেলিভিশন ভাষণে বলেন, আমেরিকান সাম্রাজ্য যদি ভেনেজুয়েলাকে সামরিকভাবে আক্রমণ করে তাহলে আমাদের জনগণ, আমাদের শান্তি এবং আমাদের স্থিতিশীলতা রক্ষা করার জন্য সংবিধান অনুযায়ী জরুরি অবস্থা জারির... পরামর্শ প্রক্রিয়া আজ থেকে শুরু হয়েছে।
এর আগে সোমবার সকালে ভেনেজুয়েলার ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেলসি রদ্রিগেজ বিদেশি কূটনীতিকদের জানান, মাদুরো একটি ডিক্রিতে স্বাক্ষর করেছেন, যা তাকে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার বিষয়ে বিশেষ ক্ষমতা প্রদান করবে। এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে যদি আমেরিকা আমাদের মাতৃভূমিতে আক্রমণ করার সাহস দেখায়।
এই ডিক্রির মাধ্যমে মাদুরো সারা দেশে সেনাদের একত্রিত করতে পারবেন এবং সামরিক বাহিনীকে জনসেবা ও তেল শিল্পের উপর কর্তৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা পাবেন। সংবিধান অনুযায়ী, এই ক্ষমতাগুলি ৯০ দিনের জন্য বৈধ থাকবে এবং আরও ৯০ দিনের জন্য নবায়ন করা যেতে পারে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে সবচেয়ে বড় নৌ বহর মোতায়েন করেছেন। ভেনেজুয়েলার উপকূলের আন্তর্জাতিক জলসীমায় আটটি যুদ্ধজাহাজ, একটি পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন এবং এফ-৩৫ স্টিলথ ফাইটার মোতায়েন করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে এফ-৩৫ ফাইটার যুদ্ধবিমান পাঠানো হয়েছে পুয়ের্তো রিকোতেও।
ট্রাম্প একাধিকবার প্রকাশ্যে দাবি করেছেন, এই মোতায়েন অবৈধ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটি মাদক-বিরোধী অভিযান। তবে জাতিসংঘ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তথ্য অনুযায়ী, ভেনেজুয়েলা যুক্তরাষ্ট্রে কোকেন সরবরাহের প্রধান উৎস নয়।
সূত্র: আলজাজিরা
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল