আন্তর্জাতিক জালিয়াতি তদন্তের পর চীনা নাগরিক ঝিমিন কিয়ান দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। এককভাবে বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিপ্টোকারেন্সি জব্দের ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, তারা ৬১ হাজার বিটকয়েন উদ্ধার করেছে। যার বর্তমান মূল্য ৫০০ কোটি পাউন্ডেরও (প্রায় ৬.৭ বিলিয়ন ডলার)।
ঝিমিন কিয়ান ইয়াদি ঝাং নামেও পরিচিত। তিনি সোমবার সাউথওয়ার্ক ক্রাউন কোর্টে অবৈধভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সি অর্জন এবং দখলে রাখার অভিযোগ স্বীকার করেছেন। মেট পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০১৭ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে তিনি চীনে একটি বড় আকারের কেলেঙ্কারির নেতৃত্ব দেন। এতে ১ লাখ ২৮ হাজারেরও বেশি ভুক্তভোগীকে ঠকানো হয়। চুরি যাওয়া অর্থ বিটকয়েন সম্পদ হিসেবে সংরক্ষণ করা হয়।
মেট পুলিশের তদন্তকারী গোয়েন্দা সার্জেন্ট ইজাবেলা গ্রোটো বলেন, অপরাধীকে গ্রেফতারের জন্য বহু বিচারব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত একটি জটিল তদন্তের প্রয়োজন ছিল। ঝিমিন কিয়ান পাঁচ বছর ধরে বিচার এড়িয়ে যাচ্ছিলেন।
কেলেঙ্কারি করে অর্জিত অর্থ পাচারের জন্য ওই নারী জাল নথি ব্যবহার করে চীন থেকে পালিয়ে ব্রিটেনে আসেন। সম্পত্তি কেনার চেষ্টা করেন। ঝিমিন কিয়ানের আইনজীবী রজার সাহোতা বলেছেন, দোষ স্বীকারের মাধ্যমে তাঁর মক্কেল ভুক্তভোগীদের কিছুটা স্বস্তি দিতে চান। তিনি আরও আশ্বস্ত করেন, ক্রিপ্টোকারেন্সির মূল্যবৃদ্ধির কারণে ভুক্তভোগীদের ক্ষতির চেয়েও বেশি তহবিল এখন রয়েছে তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য।
তবে কিছু খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্য সরকার জব্দ করা এই অর্থ নিজেদের কাছে রাখার চেষ্টা করবে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল