থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে ভারতের লাদাখে। বুধবারের সহিংসতার পরিই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কারফিউ জারি করেন লাদাখের উপরাজ্যপাল। এখনও সেই কারফিউ বহাল আছে।
সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলের আওতাভুক্ত করে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দিতে হবে লাদাখকে। এমনই দাবি জানিয়ে লাদাখের লেহতে বুধবার দিনভর বিক্ষোভ চললেও বৃহস্পতিবার থেকে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়নি। শুক্রবার সকাল থেকে লেহ-সহ গোটা লাদাখের পরিস্থিতি থমথমে। নিরাপত্তাও কড়া। বুধবারের হিংসার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিশ। শুধু তাই নয়, লাদাখের পরিস্থিতি নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করছেন সেখানকার উপরাজ্যপাল কবীন্দ্র গুপ্ত। কেন্দ্রও লাদাখের পরিস্থিতি সামলাতে ‘বিশেষ দূত’ পাঠিয়েছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো দল শুক্রবার সকাল থেকে দফায় দফায় লাদাখের পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছে। পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, লাদাখের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিস্থিতি এখনও সম্পূর্ণ শান্ত।
আগামী ৬ অক্টোবর লাদাখের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের। তাই তার আগেই বুধবার লেহতে বিক্ষোভ দেখায় জনতা। অভিযোগ, বিজেপির পার্টি অফিসে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। পার্টি অফিসের সামনে থাকা একটি পুলিশের গাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। লাঠিচার্জও করা হয়। আহত হন প্রায় ৮০ জন, যার মধ্যে ৪০ জন পুলিশকর্মীও রয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কারফিউ জারি হয়। শহর জুড়ে পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়। সংঘর্ষে চার জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসনের কর্তারা।
বুধবারের সহিংসতার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চিহ্নিত করে ধরা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৫০ জনকে আটক করা হয়েছে। বিভিন্ন সন্দেহভাজনের খোঁজে বাড়ি বাড়ি হানা দিচ্ছে পুলিশ।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল