জাতীয় পার্টির মহাসচিব কাজী মো. মামুনুর রশিদ বলেছেন, লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের বক্তব্যে আমরা বিস্মিত হয়েছি। কারণ, এই প্রতীকের মালিক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ প্রতিষ্ঠিত জাতীয় পার্টি (নিবন্ধন নল-১২)। এরই মাঝে এই প্রতীক নিয়ে জাতীয় পার্টি আটটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।
কাজী মামুন বলেন, এবারও আমরা আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে এককভাবে ৩০০ আসনে কিংবা জোটভুক্ত হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, বাংলাদেশের কোটি কোটি ভোটার জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দিতে উন্মুখ হয়ে আছেন।
তিনি বলেন, বর্ধিত সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে ৯ মার্চ ২০২৪ তারিখে সংগঠনের যাবতীয় বিধি বিধান মেনে- রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট প্রাঙ্গনে জাতীয় পার্টির ইতিহাসে সবচেয়ে বর্ণাঢ্য ও জাঁকজমকপূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বিপুল সংখ্যক দেশি বিদেশি সাংবাদিক এবং বিদেশি কূটনীতিকদের উপস্থিতিতে এই সম্মেলনে বেগম রওশন এরশাদ চেয়ারম্যান এবং আমি কাজী মো. মামুনুর রশীদ মহাসচিব নির্বাচিত হই। এছাড়াও পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবং প্রেসিডিয়াম সদস্যবৃন্দ নির্বাচিত করা হয়। কাউন্সিল পরবর্তী সময়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করা হয়। সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি গঠন করে নিয়মানুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর পেশ করার মাধ্যমে আমাদের অনুকূলে দলীয় নিবন্ধন বরাদ্দের জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তৎকালীন শেখ হাসিনার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন বিষয়টি নিয়ে কালক্ষেপণ করতে থাকে।
কাজী মামুন বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর আমরা আবারও আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করেছি। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমরাই প্রকৃত জাতীয় পার্টি এবং নিবন্ধনের একমাত্র মালিক। জাতীয় পার্টির প্রতীক লাঙ্গলের একমাত্র দাবিদার। বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনারের আজকের বক্তব্য শেখ হাসিনার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের বক্তব্যের প্রতিলিপি মাত্র। আমরা বিশ্বাস করি অতি শীঘ্রই বর্তমান নির্বাচন কমিশন আমাদের অনুকূলে দলীয় নিবন্ধন বরাদ্দ করে সময়োপযোগী সঠিক সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করবেন।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ