কৃষিপ্রধান ডুমুরিয়া উপজেলা ও শিল্প এলাকা ফুলতলা নিয়ে গঠিত খুলনা-৫ সংসদীয় আসন। এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন চাইছেন দুজন। তারা হলেন-বিসিবির সাবেক পরিচালক খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলি আসগর লবি ও ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটি সাবেক সহসভাপতি শফি মোহাম্মদ খান। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা খুলনায় এসে আলি আসগর লবির পক্ষে দলের অন্য নেতাদের কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। এরপর আগ্রহী অনেকে প্রার্থী হওয়ার তৎপরতা বন্ধ করে দেন। কিন্তু শফি মোহাম্মদ খান ভোটের মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। অন্যদিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যক্ষ গোলাম পরওয়ার দীর্ঘদিন নির্বাচনি প্রচারণায় সক্রিয় রয়েছেন। তিনি ২০০১ সালে এই আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলনের একক প্রার্থী হিসেবে মুফতি আ. ছালাম খান এবং খেলাফত মজলিসের আবদুল কাইয়ুম জমাদ্দার ভোটের মাঠে প্রচারণায় রয়েছেন।
আলি আসগর লবি বলেন, খুলনা-৫ আসনটি বিএনপির ঘাঁটি। এই আসনে আমিই বিএনপির একক প্রার্থী। দলের শীর্ষপর্যায় থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করার পরই নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মাঠে নেমেছি। ভালো সাড়া পাচ্ছি। ভোটাররা আমাকে ভোট দিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করলে সুবিধাবঞ্চিত এ অঞ্চলের উন্নয়নে নিজেকে উজাড় করে দেব। তিনি বলেন, এখানে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল গোলাম পরওয়ার শক্ত একজন প্রতিদ্বন্দ্বী। এখন পছন্দের বিষয়টি ভোটারদের। জামায়াতের প্রার্থী গোলাম পরওয়ার বলেন, ৩০ বছর ধরে এই এলাকার মানুষ আমাকে দেখছেন। আমি আমার জীবনের একটা বড় অংশই এলাকার মানুষের সঙ্গে কাটিয়েছি। আমি এখানকার এমপি ছিলাম। নির্বাচনি প্রচারণায় আলহামদুলিল্লাহ ভালো সাড়া পাচ্ছি। যদি জনগণ নির্র্ভয়ে ভোট দিতে পারে, হুমকি ধমকি না পায়। যদি কালো টাকার লোভে না পড়ে, তাহলে আমরা যে আদর্শ, নৈতিকতা ও নতুন বাংলাদেশ গড়তে যাচ্ছি, সেখানে আমাদেরই জয় হবে ইনশাল্লাহ।
ইসলামী আন্দোলনের মুফতি আ. ছালাম খান বলেন, মানুষের কাছে যাচ্ছি। খোঁজখবর নিচ্ছি। দুটি উপজেলার প্রায় ৫৫টি ওয়ার্ড নির্বাচনি কমিটি করা হয়েছে। খেলাফত মজলিসের আবদুল কাইয়ুম জমাদ্দারের পক্ষে দলীয় নেতা-কর্মীরা এলাকায় নিয়মিত গণসংযোগ, মোটরসাইকেল র্যালি করছেন। দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইছেন।