গাইবান্ধা-৫ আসন সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলা নিয়ে গঠিত। আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেতে এ আসন থেকে বিএনপির আট নেতা প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। মনোনয়ন পাওয়ার জন্য তারা দৌড়-ঝাঁপ করছেন। এ নেতারা হলেন জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও শিল্পপতি অ্যাডভোকেট নাজেমূল ইসলাম প্রধান নয়ন, সহসভাপতি ফারুক আলম সরকার, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুন নবী টিটুল, সাবেক ছাত্রনেতা কামরুজ্জামান সোহাগ, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহআইন বিষয়ক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় আইনজীবী ফোরামের সদস্য অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান, সাঘাটা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজি মোহাম্মাদ আলী, জেলা বিএনপির সদস্য মইনুল হাসান শামীম ও সম্প্রতি বহিষ্কৃত জেলা বিএনপির সহসভাপতি নাহিদুজ্জামান নিশাদ।
এ আসনে জেলা জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র নায়েবে আমির আবদুুল ওয়ারেজকে একক প্রার্থী ঘোষণা করেছে দলটি। ভোটের মাঠে তার পক্ষে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। মনোনয়নের ব্যাপারে বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট নাজেমূল ইসলাম প্রধান নয়ন বলেন, ‘২০১৮ সালে বিএনপি আমাকে মনোনয়ন দিয়েছিল। আমি বিএনপির একনিষ্ঠ কর্মী। দল এবারও আমাকেই মনোনয়ন দেবে বলে আশা করছি।’ তিনি শিক্ষা, স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে নদীভাঙনের শিকার মানুষের পাশে থেকে এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করতে চান বলে জানান। জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী আবদুল ওয়ারেজ বলেন, ‘সাঘাটা-ফুলছড়ি উপজেলার বেশির ভাগ মানুষ যমুনা, ব্রহ্মপুত্র নদবেষ্টিত। যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য বালাসী-বাহাদুরাবাদ টানেল অথবা সেতু নির্মাণ করে এসব মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করতে চাই আমি।’ প্রসঙ্গত, ২০০১-এ অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে জাতীয় পার্টির রওশন এরশাদ নির্বাচিত হন। ২০০৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এমপি ছিলেন নৌকা প্রতীকের অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া। পরে তিনি মারা গেলে উপনির্বাচনে ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন নির্বাচিত হন। ২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে পুনরায় তিনি বিজয়ী হন। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে দুজন তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ভোটারসহ প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।