ভারতের শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানির ছেলের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিগত চিড়িয়াখানা 'ভান্তারা'র বিরুদ্ধে অবৈধ প্রাণী-বাণিজ্যের যেসব অভিযোগ উঠেছিল তা ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন দেশটির শীর্ষ আদালতের নিযুক্ত একটি বিশেষ তদন্ত দল।
দেশটির সুপ্রিম কোর্ট অবসরপ্রাপ্ত বিচারকদের একটি তদন্ত দল গঠন করেন গত মাসে, যেখানে অভিযোগ ছিল- প্রাণীদের অবৈধভাবে আনা হয়েছে এবং তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে। তবে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ওই তদন্ত দল জানায়, চিড়িয়াখানার পরিচালনায় কোনো অনিয়ম পাওয়া যায়নি এবং সব অধিগ্রহণ আইন মেনেই হয়েছে। দেশটির সুপ্রিম কোর্ট আগে থেকেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন হতে পারে।
তবে অভিযোগ ওঠে যে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথভাবে বিষয়টি তদন্ত করেনি। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। ভান্তারার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তদন্তে পরিষ্কারভাবে প্রমাণ হয়েছে যে- ওঠা সন্দেহ ও অভিযোগগুলোর কোনো ভিত্তি ছিল না। উল্লেখ যে ভান্তারা একটি ব্যক্তি মালিকানাধীন বন্যপ্রাণী আশ্রয়কেন্দ্র। যা গুজরাটের জামনগরে ৩,৫০০ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত। এটি অনন্ত আম্বানির উদ্যোগে তৈরি এবং এখানে হাতি, বাঘসহ প্রায় ২,০০০ প্রজাতির প্রাণীর আবাসস্থল রয়েছে। এটি মুকেশ আম্বানির বিশাল তেল শোধনাগারের কাছাকাছি অবস্থিত। যা বিশ্বের বৃহত্তম রিফাইনারিগুলোর একটি।
আনুষ্ঠানিকভাবে এই বছরের মার্চ মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এ ছাড়াও এটি অনন্ত আম্বানির বিলাসবহুল প্রাক-বিবাহ অনুষ্ঠানের একটি মূল ভেন্যু ছিল। যা আন্তর্জাতিকভাবে সংবাদ শিরোনামে আসে। যদিও ভান্তারা এখনো সাধারণের জন্য উন্মুক্ত নয়, বিভিন্ন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণবাদী ও কর্মী এই প্রকল্প নিয়ে সমালোচনা করে আসছেন। তাদের অভিযোগ, এই অঞ্চলের উষ্ণ ও শুষ্ক আবহাওয়া অনেক প্রাণীর জন্য উপযুক্ত নয়। সম্প্রতি, মহারাষ্ট্রের কোলাপুর শহরের একটি মন্দির থেকে একটি অসুস্থ হাতি ভান্তারায় স্থানান্তরের ঘটনায় বিক্ষোভ দেখা দেয় এবং বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। তবে সুপ্রিম কোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দেন। আদালত জানান, তদন্তে ইতিমধ্যেই অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সূত্র: বিবিসি।
বিডি প্রতিদিন/এএম