সিরিয়ার দামেস্কের কাছে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় কমপক্ষে ৬ জন সিরীয় সেনা নিহত হয়েছেন। বুধবার সকালে এই হামলা চালানো হয়।
এই ঘটনার আগে সিরিয়ার সরকার অভিযোগ করেছিল যে, ইসরায়েলি সেনারা বারবার তাদের সীমান্ত লঙ্ঘন করছে। ইসরায়েলের প্রায় ৬০ জন সেনা নতুন করে সিরিয়ার মাউন্ট হেরমনের আশপাশে প্রবেশ করেছে বলেও অভিযোগ তোলা হয়।
সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই হামলা আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি।
সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শাইবানী বলেছেন, ইসরায়েল সিরিয়ার দখলকৃত এলাকায় সেনা ঘাঁটি ও গোয়েন্দা কেন্দ্র স্থাপন করছে।
তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, তারা দক্ষিণ সিরিয়ায় একটি রুটিন অপারেশন চালাচ্ছিল। সিরিয়া যেখানে হামলার অভিযোগ করেছে সেখানে তারা যায়নি।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই মাসে খোলাখুলিভাবে তার ‘গ্রেটার ইসরায়েল’ বা ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ পরিকল্পনার কথা বলেছেন। এ পরিকল্পনায় ফিলিস্তিন ছাড়াও লেবানন, সিরিয়া, মিসর ও জর্ডানের কিছু অংশ দখল করাই ইসরায়েলের মূল লক্ষ্য।
১৯৬৭ সালে যুদ্ধের সময় সিরিয়ার গোলান মালভূমি দখল করে নেয় ইসরায়েল। এরপর থেকে ধীরে ধীরে সেখানে নিজের নিয়ন্ত্রণ আরও বাড়িয়েছে দখলদার।
গত ডিসেম্বরে বাশার আল-আসাদ সরকার পতনের পর ইসরায়েল ৪০০ বর্গ কিলোমিটারের বেশি নতুন সিরীয় এলাকা দখল করেছে।
এই দখলদারিকে নিজেদের রক্ষামূলক কৌশল হিসেবে দেখায় ইসরায়েলি কর্মকর্তারা। তবে, সমালোচকদের মতে, এর মাধ্যমে নিজেদের এলাকা সম্প্রসারণ করছে ইসরায়েল। তাদের লক্ষ্য হলো এ অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করা।
বিডি প্রতিদিন/কেএ