গাইবান্ধার সাঘাটায় এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর ১২ দিনেও উদ্ধার হয়নি ওই স্কুলছাত্রী। এ বিষয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে গড়িমসির অভিযোগ এনে মেয়েকে উদ্ধারে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্তৃপক্ষের প্রতি আকুতি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই ছাত্রীর মা শাহানাজ বেগম।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এর আগে, গত ১১ অক্টোবর উপজেলার টেপাপদুমশহা এলাকা থেকে স্কুলছাত্রী সাহরিয়া আকতারকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ করে তার পরিবার। সে পদুমশহর উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।
লিখিত বক্তব্যে শাহানাজ বেগম বলেন, আমার স্বামী সাহাদুল ইসলাম কুয়েতপ্রবাসী। দুই মেয়ে ও এক শিশুপুত্র নিয়ে কষ্টে জীবনযাপন করছি। কিন্তু আমি বাড়িতে না থাকার সুযোগে গত ১১ অক্টোবর প্রতিবেশী পল্লব কুমারের সহায়তায় আমার মেয়ে সাহরিয়া আকতারকে অপহরণ করে নিয়ে যায় কিছু বখাটে যুবক।
তিনি বলেন, অপহরণের ঘটনায় পরের দিন থানায় মামলা করতে গেলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামলা নথিভুক্ত না করে ফেলে রাখেন। কয়েকদিন থানায় ঘোরাঘুরির পর পুলিশ সুপার মহোদয়কে অভিযোগ করার পর গত ২০ অক্টোবর ওসি মামলা নিয়ে অভিযুক্ত পল্লব কুমারকে গ্রেফতার করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
তিনি আরও বলেন, গ্রেফতার পল্লব কুমারকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অপহরণকারীদের শনাক্ত করা যেত। মেয়েকে উদ্ধার ও অপহরণকারীদের উপযুক্ত শাস্তির জন্য জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন শাহানাজ বেগম।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে সাহরিয়া আকতারের দুলাভাই মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাদশা আলম বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/কেএইচটি