পাবনার ফরিদপুর উপজেলার মধ্য পুংগলী গ্রামে পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে হাজী বংশ ও বাদশাহ বংশের লোকজনের মধ্যে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ঈদুল ফিতরের নামাজের সময় ঈদগাহ মাঠের সামনে বসাকে কেন্দ্র করে হাজী বংশ ও বাদশাহ বংশের মধ্যে বিরোধের সূত্রপাত হয়। তখনও দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। এরপর থেকে ওই গ্রামে দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। সম্প্রতি স্থানীয় একটি জমি নিয়ে মন্তব্য ও দৃষ্টিকটু কথাবার্তা নিয়ে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। বৃহস্পতিবার সকালে সেই উত্তেজনা চরমে পৌঁছায় এবং দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুই পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে কয়েকজনের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত রয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক কামরুল হাসান জানান, পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ফরিদপুর থানা পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মজিদ বলেন, ঈদের সময় সামান্য আসন নিয়ে ঝামেলা থেকে আজ এত বড় সংঘর্ষ হবে তা কেউ ভাবেনি। এখন গ্রামের মানুষজন আতঙ্কে আছে।
অপর গ্রামবাসী সিরাজুল ইসলাম বলেন, পুলিশ থাকলেও ভয় কাটেনি। আমরা চাই দুই পরিবারের মধ্যে স্থায়ীভাবে মীমাংসা হোক।
স্থানীয় স্কুলশিক্ষক রায়হান আলী বলেন, এ ধরনের পারিবারিক বা সামাজিক বিরোধ যদি শুরুতেই প্রশাসনের মধ্যস্থতায় সমাধান করা যেত, তাহলে এ রকম রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতো না। তিনি দ্রুত তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
ফরিদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাকিউল আজম বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সংঘর্ষ থামায় এবং শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার চেষ্টা করে। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কেউ এখনও থানায় লিখিত অভিযোগ করেননি।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল