ইসরায়েলের সঙ্গে সম্ভাব্য নিরাপত্তা চুক্তি নিয়ে অগ্রগতির ইঙ্গিত দিয়েছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমাদ আল-শারা।
স্থানীয় গণমাধ্যম সিরিয়া টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দামেস্ক ও তেল আবিবের মধ্যে এ বিষয়ে উন্নত পর্যায়ের আলোচনা চলছে।
আল-শারা জানিয়েছেন, যেকোনও সমঝোতা ১৯৭৪ সালের যুদ্ধবিরতির রেখাকে ভিত্তি করেই হবে এবং সিরিয়া ও গোটা অঞ্চলের স্বার্থে প্রয়োজনীয় চুক্তি বা সিদ্ধান্ত নিতে তিনি দ্বিধা করবেন না।
এর আগে সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শাইবানি প্যারিসে ইসরায়েলি এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন। সংবাদমাধ্যম সানা জানিয়েছে, ওই আলোচনায় উত্তেজনা প্রশমিত করা, সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা জোরদারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়। পাশাপাশি দক্ষিণ সিরিয়ার সুয়েইদা প্রদেশে যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ এবং ১৯৭৪ সালের চুক্তিকে পুনরায় সক্রিয় করার বিষয়েও কথা হয়।
সানা জানায়, আলোচনাগুলো যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হচ্ছে এবং এর মূল লক্ষ্য হলো সিরিয়ার নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা জোরদার করা, একইসঙ্গে দেশের ঐক্য ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা সংরক্ষণ করা।
প্রসঙ্গত, সিরিয়া ও ইসরায়েলের মধ্যে ১৯৭৩ সালের যুদ্ধের পর ডিসএনগেজমেন্ট এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ওই চুক্তির মাধ্যমে সেনা প্রত্যাহার, আলফা ও ব্রাভো নামে দুটি প্রধান সীমারেখা চিহ্নিত করা এবং জাতিসংঘের আন্ডোফ শান্তিরক্ষী বাহিনীর তত্ত্বাবধানে একটি বাফার জোন গঠন করা হয়।
বিশ্লেষকদের মতে, দীর্ঘদিনের বৈরিতা ও সংঘর্ষের পর এ ধরনের আলোচনা সিরিয়া-ইসরায়েল সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত বহন করছে এবং মধ্যপ্রাচ্যের কৌশলগত ভারসাম্যে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি
বিডি প্রতিদিন/একেএ