রাশিয়া ইউক্রেনে একটি ‘টেকসই ও স্থিতিশীল শান্তি’ চায় বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, রাশিয়ার পক্ষ থেকে যেসব শর্ত আগে দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধ বন্ধে ১০ দিনের সময়সীমা নির্ধারণ করে চাপ সৃষ্টি করলেও পুতিন তার তিন বছর তিন মাস ধরে চলা আক্রমণ বন্ধে কোনো ইঙ্গিত দেননি।
পুতিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এমন এক শান্তি চাই যা দীর্ঘস্থায়ী হবে, মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড়াবে এবং রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।’ তিনি বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে দেওয়া শর্তগুলো এখনো একই আছে।
রাশিয়া ইতিমধ্যে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে নিজেদের অংশ হিসেবে দাবি করে এসেছে, যেগুলোর নিয়ন্ত্রণ ছাড়তে কিয়েভ রাজি নয়।
এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যুদ্ধ বন্ধে আবারও রাশিয়ার সঙ্গে শীর্ষ পর্যায়ে বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি রাশিয়ায় কে সিদ্ধান্ত নেয় এবং কার মাধ্যমে যুদ্ধ বন্ধ হতে পারে। আমরা যেকোনো সময় শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে প্রস্তুত।’
ইউক্রেন বর্তমানে পশ্চিমা মিত্রদের কাছে আরও অস্ত্র সহায়তা এবং রাশিয়া ও তার মিত্রদের ওপর অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানাচ্ছে যাতে মস্কোর প্রতিদিনের হামলা মোকাবিলা করা যায়।
পুতিন বলেছেন, রাশিয়া তাদের হাইপারসনিক পারমাণবিক সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র ‘ওরেশনিক’-এর ব্যাপক উৎপাদন শুরু করেছে। এই ক্ষেপণাস্ত্র গত বছর ইউক্রেনের দ্নিপ্রো শহরে ব্যবহৃত হয়েছিল এবং পরে এটি বেলারুশে মোতায়েনের কথাও জানানো হয়।
বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে পুতিন জানান, রাশিয়া ও বেলারুশের সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞরা ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের জন্য উপযুক্ত স্থান নির্বাচন করেছেন এবং বছর শেষের আগেই তা বাস্তবায়নের কাজ শেষ হবে বলে আশা করছেন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল