আগামী গ্রীষ্মে অনুষ্ঠিতব্য ফিফা বিশ্বকাপকে নিরাপদ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকার ৫০০ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা) ব্যয়ে একটি মহাপরিকল্পনা চালু করেছে। পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য হলো যেকোন ধরনের ড্রোন বা বিমান হামলা প্রতিহত করা এবং বিশ্বকাপসহ সকল আয়োজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
হোয়াইট হাউজের তথ্য অনুযায়ী, এই ব্যয় শুধুমাত্র আকাশপথ নিরাপদ করার জন্য নয়, একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিগত সক্ষমতাও বিশ্বের তুলনায় প্রদর্শন করা হবে। আগামী বছরের বিশ্বকাপ মেক্সিকো, কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। যুক্তরাষ্ট্রের অংশে মোট ১০৪টি স্টেডিয়ামে খেলা অনুষ্ঠিত হবে।
‘ফিফা বিশ্বকাপ-২০২৬’ টাস্কফোর্সের পরিচালক এ্যান্ড্রু জুলিয়ানি জানান, ফেডারেল পুলিশের পাশাপাশি স্টেট ও সিটির পুলিশও যেকোনো হামলা প্রতিহত করার ক্ষমতা পাবেন। বিশেষভাবে ড্রোন হামলা ও বিমান হামলার সম্ভাব্য হুমকি রুখতে স্থানীয় প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে। এতে পুলিশ বাহিনী এয়ারক্রাফট শনাক্ত, নিয়ন্ত্রণ এবং প্রয়োজনে তা প্রত্যাহার বা নির্ধারিত স্থানে ফিরিয়ে পাঠানোর সক্ষমতা অর্জন করবে।
হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ব্যবস্থার ফলে দর্শকরা নির্বিঘ্নে বিশ্বকাপ উপভোগ করতে পারবেন। উল্লেখ্য, ২০২৮ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসে অনুষ্ঠিতব্য অলিম্পিকের প্রস্তুতির অংশ হিসাবেও এই নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো হবে।
এ ব্যয় ‘দ্য বিগ বিউটিফুল বিল’-এর মাধ্যমে অনুমোদিত হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি স্টেটে কার্যকর হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল