বাগেরহাটের রাঢ়িপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম মিন্টুসহ পৃথক ঘটনায় একই দিনে তিনজন নিহত হয়েছেন।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) দিবাগত রাতে পারিবারিক বিরোধের জেরে কচুয়া উপজেলার শিবপুর গ্রামে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হন রাঢ়িপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম মিন্টু (৪৮)। পরে তাকে দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে, সোমবার রাতে মোংলা উপজেলা সদরের কবরস্থান রোডে পূর্ব শত্রুতার জেরে গুরুতর আহত যুবক মহিদুল শেখ (৩০) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এদিকে মঙ্গলবার সকালে বাগেরহাট শহরতলীর পঁচাদিঘী এলাকা থেকে নিখোঁজ রাজমিস্ত্রি সুমন্ত বিশ্বাসের (৪৫) ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এই তিনটি ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কচুয়ায় যুবদল নেতা মিন্টু হত্যায় তার প্রথম স্ত্রী ঝর্ণাকে, আর মোংলা হত্যাকাণ্ডে মাহমুদ ও বনি নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. শামীম হোসেন জানান, সোমবার রাতে দুই স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে মিন্টুর প্রথম স্ত্রী ঝর্ণার নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। গুরুতর আহত মিন্টুকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। নিহত মিন্টু শিবপুর গ্রামের সরদার আবু বক্কারের ছেলে। তার দুই স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
মোংলা থানার ওসি মো. আনিসুর রহমান বলেন, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশা ওভারটেক করাকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষরা মহিদুল শেখকে বেধড়ক মারধর করে। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তার মৃত্যু হয়। নিহত মহিদুল মিঠাখালী ইউনিয়নের সোনাখালী গ্রামের হান্নান শেখের ছেলে।
এদিকে বাগেরহাট সদর থানার ওসি মাহমুদ উল হাসান জানান, চিতলমারীর বাবুগঞ্জ গ্রামের সতীম চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে সুমন্ত বিশ্বাস বাগেরহাট শহরের দশানী এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। সোমবার দুপুরে কাজ শেষে বের হওয়ার পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। মঙ্গলবার সকালে পঁচাদিঘীর পশ্চিম পাশ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সুমন্তের মরদেহ বাগেরহাট জেলা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল