মিসরের শারম আল-শেখ শহরে সোমবার অনুষ্ঠিত এক গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির কাগজপত্রে স্বাক্ষর হয়েছে। এ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যের ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় ধরনের ঘোষণা দেন। তবে তিনি চুক্তি বাস্তবায়নের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো নিয়ে খুব বেশি বিস্তারিত কিছু জানাননি।
বিশেষ করে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ‘আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী’ কারা গঠন করবে, কোন দেশ সেনা পাঠাবে এবং সেই বাহিনীর কার্যপরিধি (কাজের নিয়ম-কানুন) কী হবে— এসব প্রশ্নের সুস্পষ্ট উত্তর এখনো মেলেনি।
ট্রাম্প তার বক্তব্যে গাজা পুনর্গঠনের বিষয়টিতেই বেশি গুরুত্ব দেন। তবে চুক্তি স্বাক্ষরের পরপরই টেকসই শান্তির দিকে দ্রুত এগোনোর মতো গতি দেখা যায়নি। সম্মেলনে উপস্থিত কিছু বিশ্বনেতা ট্রাম্পের প্রশংসা করলেও বাস্তবে পরবর্তী ধাপের কোনো দৃঢ় পদক্ষেপ স্পষ্ট হয়নি।
সম্মেলনে যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের চেয়ে অনুপস্থিত কিছু নেতার নাম ছিল আরও তাৎপর্যপূর্ণ। সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ এবং সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান সরাসরি অংশ না নিয়ে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের পাঠান।
এই দুই দেশই দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রশ্নে দৃঢ় অবস্থানে আছে এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কাজ করতে ক্রমশ অনাগ্রহী হয়ে উঠেছে। ফলে তাদের অনুপস্থিতি এই যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ধাপ নিয়ে অনিশ্চয়তা আরও বাড়িয়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল