আগামী নভেম্বরে গণভোট আয়োজনের পক্ষে নির্বাচন কমিশনে জামায়াতে ইসলামী নিজেদের যুক্তি তুলে ধরেছে। দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সংসদ নির্বাচনের জন্য অভিজ্ঞতা নিতে হলেও নভেম্বরে গণভোট করা যেতে পারে।
একসঙ্গে জাতীয় সংসদ ও গণভোটের সময় যদি ঝামেলা হয়, তাহলে ‘আম ছালা দুটোই’ যাবে বলে মন্তব্য করেন জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের। ইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। গতকাল আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে জামায়াতের একটি প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনসহ চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। আবদুল্লাহ মো. তাহেরের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ, অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার, মতিউর রহমান আকন্দ বৈঠকে অংশ নেন। তিন ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে জামায়াতের নায়েবে আমির জানান, প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট প্রক্রিয়া, ভোটার তালিকা ও এনআইডি, পিআর পদ্ধতি, রিটার্নিং অফিসার ও গণভোট আয়োজন নিয়ে দলের অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে বৈঠকে। আগামী বছর রোজার আগে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। এখন কোন সময় গণভোট হবে তা নিয়ে চলছে আলোচনা।
বৈঠক শেষে সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, আমরা অবশ্যই গণভোট (সংসদ নির্বাচনের) আগে চাচ্ছি; নভেম্বরে গণভোট করার জন্য আমরা বলে আসছি। আবুদুল্লাহ মো. তাহেরের মতে, গণভোট তো খুব সিম্পল একটা ইলেকশন। এখানে খুব বড় ধরনের কোনো ফাইন্যান্স (নির্বাচনি খরচ) নেই। একসঙ্গে গণভোট হলে তেমন সাড়া পাওয়া যাবে না বলেও মনে করেন জামায়াত এই নেতা।
নায়েবে আমির জানান, জাতীয় নির্বাচনে সব দল ব্যস্ত থাকবে। জাতীয় নির্বাচনের কনসার্ন থাকবে সবাই। দেখা যাবে গ্রামের সাধারণ ভোটাররা ধানের শীষ বা দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিয়ে ওই কাগজটা (গণভোটের) পকেটে নিয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছে। কারণ তাকে আরেকটা ভোট দেওয়ার জন্য চাপাচাপিটা কে করবে? সে কারণে যেটা বলা হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন গণভোট পৃথকভাবে করতে হবে। আলাদা যদি হয় মানুষ এটা রিটার্ন করবে এবং সংস্কার চায় দেশের মানুষ। গণভোটের বিষয়ে সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে তা বাস্তবায়ন করার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন আশ্বস্ত করেছে বলে জানান জামায়াতের এই নেতা। তাহের বলেন, ইসি আমাদের জানিয়েছে, সরকার যদি সিদ্ধান্ত নেয় তারা এটা বাস্তবায়ন করবেন। সেখানে ইসির কোনো সমস্যা হবে না।