দিল্লি এবং আশেপাশের এলাকায় শনিবার রাত থেকে রবিবার ভোর পর্যন্ত বজ্রপাতসহ ভারী বৃষ্টিপাত এবং ঝোড়ো বাতাসের কারণে সাধারণ জনজীবন বিপর্যস্ত। এই বৃষ্টি প্রচন্ড গরমে সাময়িক স্বস্তি দিলেও রাস্তাঘাট জলমগ্ন হয়ে গেছে, গাছপালা উপড়ে পড়েছে। পাশাপাশি মারাত্মক ভাবে ব্যহত হয়েছে বিমান চলাচল ব্যবস্থাও।
দিল্লি ক্যান্টনমেন্টের মতিবাগ, মিন্টো রোড এবং দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে তীব্র জলাবদ্ধতার খবর পাওয়া গেছে। স্বাভাবিকভাবেই বিমানবন্দরে যাওয়ার একাধিক পথে স্তব্ধ হয়ে গেছে গাড়ি। একাধিক গাড়িতে পানি ঢুকে যাওয়ার কারণে সেগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দিল্লির প্রাথমিক আবহাওয়া কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী রাত ১১.৩০ থেকে ভোর ৫.৩০ পর্যন্ত- এই ছয় ঘণ্টায় ৮২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়েছে এবং ৮১.২ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
একটানা বৃষ্টি এবং বাতাসের কারণে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (আইজিআইএ) বিমান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। অন্তত শতাধিক বিমানের ওঠা নামা ব্যাহত হয়েছে। শনিবার রাত ১১.৩০ থেকে রবিবার ভোর ৪টা পর্যন্ত ৪৯ টি বিমানের যাত্রাপথ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। রবিবার ভোর ৩.৫৯ মিনিটে এক্স হ্যান্ডেলে প্রকাশিত এক পোস্টে ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে দিল্লির উপর প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে বিমান চলাচলে সাময়িক ব্যাঘাত ঘটেছে। যদিও দুই ঘণ্টা পরে, বিমান সংস্থাটি জানিয়েছে যে বিমান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
'ফ্লাইট র্যাডার-২৪' অনুসারে, সকাল ৭.৩০ পর্যন্ত, দিল্লি বিমানবন্দর থেকে বিমানগুলি গড়ে ৪৬ মিনিট বিলম্বে ছেড়ে যাচ্ছে। এদিন সকালে তাপমাত্রা ছিল ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া উত্তরাখণ্ড এবং হরিয়ানার কিছু অংশেও সারারাত ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে।
ভারত আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি) জানিয়েছে রবিবার রাত ২ টার দিকে সফদরজং (বিমানবন্দর) এলাকায় ঘণ্টায় ৮২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়, প্রগতি ময়দানে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৭৬ কিলোমিটার, পালাম বিমানবন্দর এলাকায় ছিল ঘণ্টায় ৭২ কিলোমিটার।
সর্বশেষ রেকর্ড করা তথ্য অনুযায়ী, সফদরজং এলাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৮১ মিলিমিটার, পুসা এলাকায় ৭১ মিলিমিটার এবং পালামে ৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়।
ভারত আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি) এর তরফে সাধারণ মানুষকে খোলা জায়গা এড়িয়ে চলা, গাছের নিচে আশ্রয় না নেওয়া, দুর্বল দেওয়াল এবং কাঠামো থেকে দূরে থাকা এবং জলাশয়ের কাছে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল