সিরিয়ার সুইদা প্রদেশে চলমান সহিংসতায় অন্তত এক লাখ ২৮ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা।
সোমবার (২১ জুলাই) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়, রবিবার (২০ জুলাই) জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা এ তথ্য জানায়।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) জানিয়েছে, সুইদা শহরে মারাত্মক ওষুধ সংকট দেখা দিয়েছে।
মানবিক সহায়তা নিয়ে সিরিয়ান রেড ক্রিসেন্টের একটি প্রথম কনভয় শহরে পৌঁছেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম জানিয়েছে, দ্রুজ জনগোষ্ঠীর জন্য চিকিৎসা সহায়তা পাঠিয়েছে তারা।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, “সিরিয়ায় শান্তি ও একতা রক্ষায়, যে কেউ নৃশংসতা চালিয়েছে—তা সে সরকারপক্ষীয় হোক বা না হোক—তাদের দায়ী করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।”
সুইদার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় মিয়ারবাহ গ্রামে এক সময়ের স্কুল এখন বেদুইন শরণার্থীদের আশ্রয়কেন্দ্র। দীর্ঘ গৃহযুদ্ধের চিহ্ন এখনও সেখানে স্পষ্ট—ধ্বংসস্তূপ আর গুলির ছিদ্র ছড়িয়ে রয়েছে চারদিকে।
ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে, একটি ট্রাকের পেছনে রাখা পানির ট্যাংক থেকে পানি সংগ্রহ করছিলেন বৃদ্ধ বেদুইন নারীরা। আশ্রিতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
সুইদা শহর থেকে বাস্তুচ্যুত এক নারীকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল—দ্রুজ ও বেদুইনরা একসঙ্গে থাকতে পারবে কি না।
তিনি জবাবে বলেন, “সরকার যদি দায়িত্ব নেয়, শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে, তাহলে একসঙ্গে বসবাস সম্ভব। কিন্তু সরকার না থাকলে বেদুইনরা দ্রুজদের বিশ্বাস করতে পারবে না।” সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/নাজিম