ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বর্বরতার মাত্রা আরও বাড়িয়েছে দখলদার ইসরায়েল। সেখানে ইহুদিবাদী ভূখণ্ডের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ-এর বিমান হামলায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নিহত হয়েছেন ১১৫ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২১৬ জন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
তবে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। কারণ অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। তাদেরকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। শুক্রবারের অভিযানের পর গত দেড় বছরে উপত্যকায় মোট নিহত ও আহতের সংখ্যা পৌঁছেছে যথাক্রমে ৫৩ হাজার ১১৯ জন এবং ১ লাখ ২০ হাজার ২১৪ জনে। এই হতাহতদের ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।
মাঝে জিম্মি বিনিময়ের জন্য দু’মাসের যুদ্ধবিরতি হয়। সাময়িক ওই বিরতি শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় অভিযান শুরু করে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। দ্বিতীয় দফার এ অভিযানে গত প্রায় দুই মাসে গাজায় নিহত হয়েছেন আরও ২ হাজার ৯৮৫ জন ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন আরও ৮ হাজার ১৭৩ জন।
যে ২৫১ জন জিম্মিকে হামাসের যোদ্ধারা ধরে নিয়ে গিয়েছিল, তাদের মধ্যে এখনও অন্তত ৩৫ জন জীবিত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সামরিক অভিযানের মাধ্যমে তাদের উদ্ধার করার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল।
জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানিয়েছে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘের আদালত নামে পরিচিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও দায়ের করা হয়েছে। ওই আদালত নেতানিয়াহু ও তার তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।
তবে নেতানিয়াহু স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, হামাসকে পুরোপুরি দুর্বল ও অকার্যকর করা এবং জিম্মিদের মুক্ত করা এই অভিযানের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে গাজায়। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি, আল-জাজিরা
বিডি প্রতিদিন/একেএ