ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে ‘সান অব....’ বলে গালি দিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। পাশাপাশি গাজায় অবশিষ্ট ইসরায়েলি বন্দীদের মুক্তি দিতেও হামাসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেছেন, বন্দীদের মুক্তি না দেওয়ার বিষয়টি ফিলিস্তিনে গণহত্যা চালিয়ে যেতে ইসরায়েলের জন্য একটি অজুহাত হিসেবে কাজ করছে।
ইসরায়েল নিয়ন্ত্রিত পশ্চিম তীরের রামাল্লায় অনুষ্ঠিত ৩২তম প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও) কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অধিবেশনে বক্তব্য দানকালে এ কথা বলেন মাহমুদ আব্বাস। বিশেষ করে আমেরিকান-ইসরায়েলি বন্দী আদি আলেক্সান্ডারের প্রসঙ্গটি তোলেন তিনি।
ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিদিন শত শত মানুষ মারা যাচ্ছে। কেন? তারা (হামাস) সেই মার্কিন জিম্মিকে হস্তান্তর করতে চায় না।
হামাসের উদ্দেশে তিনি বলেন, সান অব...., তোমাদের কাছে যারা আছে, তাদের হস্তান্তর করো এবং আমাদের এই অবস্থা থেকে মুক্তি দাও। ইসরায়েলকে কোনো অজুহাত দেওয়ার সুযোগ দিও না। তাদের অজুহাত দেওয়ার সুযোগ দিও না।
মাহমুদ আব্বাস বলেন, ইসরায়েলের কারণে নয়, বরং এই বন্দীদের আটকে রাখার কারণে আমাকে এবং আমার জনগণকে মূল্য দিতে হচ্ছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর আচমকা দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ২৫১ জনকে বন্দী করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস। এর মধ্যে এখনো ৫৮ জনকে মুক্তি দেয়নি তারা। আর ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ভাষ্য অনুযায়ী, ৩৪ জন ইতোমধ্যে মারা গেছেন।
হামাস ও মাহমুদ আব্বাসের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনা বিরাজ করছে। পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি অভিযানের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হওয়া এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন চালানোর জন্য আব্বাসকে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হতে হয়েছে।
পশ্চিম তীরের কিছু অংশ শাসন করে মাহমুদ আব্বাসের ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ)। আর ২০০৫ সালে দুই পক্ষের মধ্যে বিভক্তির পর থেকে গাজা শাসন করছে হামাস।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ৫১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে দখলদার ইসরায়েল। গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত।
বিডি প্রতিদিন/কেএ