ভারত শাসিত কাশ্মীরের পাহেলগামে গত মঙ্গলবার বন্দুকধারীদের হামলায় মঙ্গলবার ২৬ পর্যটকদের মৃত্যু হয়েছে। ভয়াবহ এ হামলার পেছনে পাকিস্তানের হাত রয়েছে বলে দাবি করছে ভারত। যার জেরে ইতোমধ্যেই বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপও নিয়েছে দেশটির বর্তমান ক্ষমতাসীন মোদি সরকার।
তবে এই হামলাকে ‘ফলস ফ্ল্যাগ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন পাকিস্তানের পাঞ্জাবের তথ্যমন্ত্রী আজমা বোখারি। একইসঙ্গে ভারতের যে কোনো হুমকির জবাবে পাল্টা হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন এই পাকিস্তানি মন্ত্রী।
ভারতের ‘যেকোনো সম্ভাব্য আগ্রাসনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত’ পাকিস্তান বলে দাবি করেছেন আজমা বোখারি। তিনি বলেন, ‘ফলস ফ্ল্যাগ’ অজুহাতে ভারতের যেকোনো দুঃসাহসিক কাজ ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে। তার কথায় আভাস মিলছে ভারত পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে। আর সেটা হলে জবাব দিতে প্রস্তুত পাকিস্তানও।
বোখারির ‘ফলস ফ্ল্যাগ’ শব্দটি ইঙ্গিত দেয় জম্মু ও কাশ্মীরের ঘটনার পিছনে ভারত নিজেই দায়ী। আর এটা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য একটি অজুহাত তৈরি করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।
যা নিয়ে বোখারি আরও বলেন, ‘গতবার আমরা চা পরিবেশন করেছিলাম- কিন্তু এবার হয়তো এত ভদ্র থাকব না। মাঝে মাঝে একজন অতিথিকে সহ্য করা যায়। কিন্তু যদি অতিথিরা ঘন ঘন আসেন, তখন? পাকিস্তানের সেনাবাহিনী, তার জনগণ এবং তার সরকার জানে কীভাবে সেই অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া জানাতে হয়।’
তিনি সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে ‘দুঃখ প্রকাশ’ করলেও এটিকে ‘ফলস ফ্ল্যাগ’ বলে দাবি করেছেন। তার মতে, ‘এটি আরও একটি কাপুরুষোচিত প্রচেষ্টা, ঠিক যেমন ভারত অতীতে পাকিস্তানকে নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ভারতের যেকোনো ‘সামরিক অপপ্রচার’ হবে একটি গুরুতর ভুল। ‘অতীতের মতো, পাকিস্তান প্রতিটি ফ্রন্টে একটি শক্তিশালী এবং কার্যকর প্রতিক্রিয়া দেখাবে। আমরা আবার আমাদের মাতৃভূমি রক্ষার জন্য যেকোনো সীমা পর্যন্ত যাব।’
উল্লেখ্য, ফলস ফ্ল্যাগ হল একটি রাজনৈতিক বা সামরিক পদক্ষেপ যা প্রতিপক্ষকে দোষারোপ করার উদ্দেশ্যে করা হয়ে থাকে। কোনো একটি দেশ তাদের নিজস্ব পক্ষের উপরই আক্রমণ করে এবং পরবর্তীতে সেই দোষ শত্রু পক্ষের ওপর চাপিয়ে দেয়, যুদ্ধে জয়ের অজুহাত হিসেবে সাধারণত এটি করা হয়ে থাকে। পাহেলগাম হামলাকেও সেই দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছে পাকিস্তান।
সূত্র : দ্য ইকোনমিক টাইমস।
বিডি-প্রতিদিন/শআ