ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র হিসেবে গেজেট প্রকাশে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ চাওয়ার মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন।
বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার পর রাজধানীর আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে তারা সাক্ষাতে মিলিত হন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০২০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল। গত ২৭ মার্চ সেই ফল বাতিল করে তৎকালীন বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে রায় দেয় ঢাকার নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল।
রায়ের এক মাসের মাথায় আগামী ২৭ এপ্রিল (মঙ্গলবার) মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের নামে গেজেট প্রকাশে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত জানতে চায় নির্বাচন কমিশন। সব প্রক্রিয়া শেষ করে শপথ গ্রহণের পর ইশরাক হোসেন কত দিনের জন্য মেয়রের আসনে বসার সুযোগ পাবেন, সেই প্রশ্ন ঘুরে ফিরে আসছে।
সিইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে বিএনপির এ নেতা জানান, ‘রায়ের পর ফাইল ইসিতে এসেছে, গেজেট হবে। ইতোমধ্যে মতামতের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেটার ফলোআপ, আমাদের ইন্টারনাল ডিসকাশন যেহেতু আমি বাদী ছিলাম, কি হচ্ছে সেটার একটা আপডেট নেওয়ার বিষয় রয়েছে।’
আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়ে গেজেট প্রকাশ হলে শপথের ব্যবস্থা নেবে স্থানীয় সরকার বিভাগ। গেজেট প্রকাশ শেষে শপথ নেওয়ার পর কত দিনের জন্য মেয়রের দায়িত্ব পাচ্ছেন তা নিয়ে আইনজীবীর পরামর্শ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
কত দিনের জন্য দায়িত্ব পাবেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ইশরাক হোসেন বলেন, ‘এ গুলো সব কিছু গেজেটে প্রকাশ হবে, পরবর্তী আরও কার্যক্রম অগ্রসর হবে। এ বিষয়ে আইনজীবী প্যানেলের সঙ্গে মিটিং করব।’
অবিভক্ত ঢাকা সিটির শেষ মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক জানান, এ পর্যন্ত যা করা হয়েছে দেশের প্রচলিত আইন ও স্থানীয় সরকারের প্রতিটি ধাপ অনুসরণ করে এবং সম্পূর্ণ আইনসিদ্ধভাবে করা হয়েছে।
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তখনকার ঘোষণা অনুযায়ী, বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেনকে পৌনে দুই লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র হন।
দেশে কোভিড মহামারি শুরুর পর ১৬ মে দায়িত্ব নেন তাপস। আর জুনের প্রথম সপ্তাহে প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই হিসেবে এ সিটি করপোরেশনের ৫ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা চলতি বছরের জুনে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত