ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলে এক সাঁতারু হাঙরের আক্রমণের শিকার হওয়ার পর তার দেহাবশেষ উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারী দল। গত সোমবার এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে দেশটির অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার কর্তৃপক্ষ। পরে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকেলে উদ্ধার হওয়া দেহাবশেষ ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য ইসরায়েলের ফরেনসিক মেডিসিন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। খবর বিবিসির।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, নিখোঁজ সাঁতারু ছিলেন মধ্য ইসরায়েলের ৪০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। বিরল এই ঘটনা ঘটেছে হাদেরা এলাকায়, যা তেল আবিবের প্রায় ৪০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। নিখোঁজ ব্যক্তিকে খুঁজতে পুলিশ সৈকত বন্ধ করে দেয় এবং উদ্ধারকারী দল অভিযান চালায়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে ওলগা সৈকতে উপস্থিত মানুষদের চিৎকার করতে শোনা যায়। স্থানীয় বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উষ্ণ পানি নির্গত হওয়ার কারণে এই এলাকাটিতে প্রায়ই বিরল হাঙর দেখা যায়, বিশেষ করে বছরের এই সময়ে। তবে সাধারণত এগুলো ক্ষতিকর নয়। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র গঠনের পর থেকে তাদের জলসীমায় হাঙরের আক্রমণে কারো মৃত্যুর কোনো রেকর্ড নেই।
অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, একজন ব্যক্তি সমুদ্রের ভেতরে কয়েক শ ফুট দূরে সাঁতার কাটছেন। হঠাৎ তিনি হাত-পা ছুড়তে শুরু করেন। এ সময় সৈকতে উপস্থিত লোকজন তাকে হাঙরের আক্রমণের শিকার হতে দেখে চিৎকার করে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেটকে এলিয়া মোটাই নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘আমি পানিতে ছিলাম, রক্ত দেখেছি, আর মানুষ চিৎকার করছিল। আমি তীর থেকে কয়েক মিটার দূরে ছিলাম। এটা ভয়ংকর। আমরা গতকালও এখানে ছিলাম এবং হাঙরগুলোকে আমাদের চারপাশে ঘুরতে দেখেছি।’
বিবিসি বলছে, এলাকাটিতে ‘ডাস্কি’ ও ‘স্যান্ডবার’ প্রজাতির হাঙরের উপস্থিতি বেশি, কারণ এখানেই অবস্থিত ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় ওরোট রবিন বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎকেন্দ্রের উষ্ণ পানি ও কাছের এক স্রোতধারা থেকে ভেসে আসা মাছ হাঙরগুলোর আকর্ষণের অন্যতম কারণ। ওয়াইনেট বলছে, ইসরায়েলের ইতিহাসে এটি মাত্র চতুর্থ নথিভুক্ত হাঙরের আক্রমণের ঘটনা।
বিডি-প্রতিদিন/শআ