সাম্প্রতিক এক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় উঠে এসেছে, মানুষের বার্ধক্য একটি নির্দিষ্ট বয়স পেরিয়ে ত্বরান্বিত হয়। গবেষকরা বলছেন, বয়স ৫০-এর কাছাকাছি আসার পর থেকেই শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও রক্তনালিতে দ্রুত বার্ধক্যের প্রভাব দেখা দেয়।
চীনের একাডেমি অব সায়েন্সেস-এর নেতৃত্বে পরিচালিত এই গবেষণাটি ২৫ জুলাই আন্তর্জাতিক গবেষণা সাময়িকী Cell-এ প্রকাশিত হয়। গবেষক দলটি বিভিন্ন বয়সের প্রাপ্তবয়স্কদের প্রোটিনের পরিবর্তন বিশ্লেষণ করে দেখতে পান যে, বয়স ৪৫ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যেই শরীরে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটে। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা যায় হৃদযন্ত্র থেকে বের হওয়া প্রধান রক্তনালী ‘অর্টা’ (aorta)-তে।
গবেষণায় বলা হয়, শরীরে বয়সভিত্তিক প্রোটিন পরিবর্তনের মাধ্যমে অঙ্গভিত্তিক বার্ধক্যের গতি ও ধরণ নির্ধারণ করা সম্ভব। বিশেষ করে রক্তনালির প্রোটিন সবচেয়ে আগে বার্ধক্যের প্রতিক্রিয়া দেখায়। এমনকি একটি নির্দিষ্ট প্রোটিন, যা অর্টা থেকে পাওয়া গেছে, তা পরীক্ষামূলকভাবে ইঁদুরের দেহে প্রয়োগ করলে তাদের দেহে দ্রুত বার্ধক্য দেখা দেয়।
গবেষকরা মনে করছেন, রক্তনালির মাধ্যমে এই ধরনের বার্ধক্য-সম্পর্কিত অণু শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে, রক্তনালিই বার্ধক্যের বিস্তারে মুখ্য ভূমিকা রাখতে পারে।
এই গুরুত্বপূর্ণ মোড়ঘোরার সময়কে চিহ্নিত করার ফলে ভবিষ্যতে আগেভাগেই বার্ধক্য প্রতিরোধে স্বাস্থ্যগত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হতে পারে। গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্য দীর্ঘস্থায়ী সুস্বাস্থ্যের পথ তৈরিতে সহায়ক হতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা আশাবাদী।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল