মানসম্পন্ন উচ্চশিক্ষা নিশ্চিতের মাধ্যমে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সুফল সবার কাছে পৌঁছে দিতে কাজ করছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। রবিবার সকালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে আয়োজিত জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পুনর্জাগরণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত আলোচনা সভা ও প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনীতে একথা বলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ।
আলোচনা সভায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর বলেন, দেশের দরিদ্র শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজে পড়াশোনা করে। গণঅভ্যুত্থানে এদের অবদান সবচেয়ে বেশি। এদের জন্যে মানসম্মত উচ্চশিক্ষা নিশ্চিতে কাজ করছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রফেসর আমানুল্লাহ বলেন, উচ্চ শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে কারিকুলাম ও সিলেবাস সংস্কারের পাশাপাশি নকলমুক্ত পরীক্ষা নিশ্চিত করা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সকল আইন ও বিএড কলেজ দুর্নীতিমুক্ত করা ও শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনের গ্রহণ করা সংস্কার কার্যক্রম সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে আগামী এক বছরের মধ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অভিভাবকরা সম্মানিত বোধ করবেন।
প্রফেসর আমানুল্লাহ বলেন, সাধারণ মানুষের উন্নয়নের লড়াই ও বিপদ এখনো কাটেনি। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে সুশৃঙ্খলভাবে কাজ করতে হবে যাতে দেশবাসী জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সুফল ভোগ করতে পারে।
এ সময় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি গাজীপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক ফজলুল হক মিলন বলেন, ক্ষুদ্র স্বার্থ ও মতানৈক্যের কারণে ফ্যাসিবাদি শক্তি যেন আবার মাথাচাড়া দিয়ে না উঠতে পারে সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। তিনি বলেন, যে আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশা নিয়ে দেশের ছাত্র-জনতা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছিল তা পূরণ করাই হচ্ছে গণঅভ্যুত্থানের পুনর্জাগরনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি শওকত হোসেন সরকার এবং আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামীর গাজীপুর মহানগরীর আমীর অধ্যাপক মোহাঃ জামাল উদদীন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর মোঃ লুৎফর রহমান এবং ট্রেজারার প্রফেসর ড. এ টি এম জাফরুল আযম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মিয়া হোসেন রানা এবং কর্মকর্তা আলমগীর সরকার ও মিয়াজউদ্দিন। আলোচনা সভা উপস্থাপনা ও সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কেন্দ্র সমন্বয় দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আহমেদ।
আলোচনা সভার শুরুতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহিদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং আহতদের দ্রæত আরোগ্য কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এছাড়া শহিদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর জুলাই গনঅভ্যুত্থানের ওপর নির্মিত দুটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এএ