ফুসফুস ক্যান্সার ব্যবস্থাপনার সর্বাধুনিক পদ্ধতি বিষয়ে জ্ঞান বিনিময় ও পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মেডিকেল অনকোলজি সোসাইটি ইন বাংলাদেশ ও ন্যাশনাল ক্যান্সার সেন্টার সিঙ্গাপুর-এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টার অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে দুই দেশের মধ্যে ক্যান্সার চিকিৎসায় সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়। সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পর দিনব্যাপী একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়, যার শিরোনাম ছিল “Recent Updates on Evidence-Based Lung Cancer Management”।
কর্মশালাটি আয়োজন করে মেডিকেল অনকোলজি সোসাইটি ইন বাংলাদেশ, এবং এতে ন্যাশনাল ক্যান্সার সেন্টার সিঙ্গাপুর ছিল সহ-আয়োজক। রেনাটা পিএলসি এই আয়োজনে সাইন্টিফিক পার্টনার হিসেবে অংশগ্রহণ করে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. পারভিন শাহিদা আক্তার বলেন, “এই সমঝোতা স্মারক বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে ক্যান্সার চিকিৎসা পদ্ধতি ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।” তিনি উল্লেখ করেন, এই সহযোগিতার মাধ্যমে ক্যান্সার চিকিৎসায় গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও উন্নত সেবার পথ আরও প্রশস্ত হবে।
কর্মশালায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক তরুণ ও অভিজ্ঞ মেডিকেল অনকোলজিস্ট অংশ নেন। এতে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ন্যাশনাল ক্যান্সার সেন্টার সিঙ্গাপুর-এর আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশেষজ্ঞ ডা. টান ওয়েই চং।
ডা. টান তার উপস্থাপনায় ফুসফুস ক্যান্সারের নির্ণয় ও চিকিৎসা বিষয়ে আধুনিক ও প্রমাণভিত্তিক পদ্ধতিসমূহ তুলে ধরেন। তার উপস্থাপনার পর একটি প্রাণবন্ত প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে উপস্থিত চিকিৎসকেরা আলোচনার জন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং জানান যে, কর্মশালায় তারা নতুন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ধারণা অর্জন করেছেন।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক চিকিৎসককে Certificates of Attendance প্রদান করা হয়, যা তাদের পেশাগত উন্নয়নের প্রতি অঙ্গীকারের স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচিত হয়।
এই যৌথ উদ্যোগকে ফুসফুস ক্যান্সার প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর অংশীদারিত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে ধরা হচ্ছে। আয়োজকরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ভবিষ্যতে এই ধরণের সহযোগিতা গবেষণা, জ্ঞান বিনিময় ও রোগীসেবার উন্নয়নে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ