দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘নির্বাচনি হলফনামায় প্রার্থীদের দেশের সম্পদের পাশাপাশি বিদেশের সম্পদের হিসাব বিবরণী দিতে হবে। আমরা সম্পদের বিবরণী চাচ্ছি, সেখানে বিদেশি সম্পদের হিসাব না দিলে তা অন্যায় হবে। পাশাপাশি অনুপার্জিত সম্পদ যাদের থাকবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
গতকাল সকালে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার আলমপুরে দুদকের বিভাগীয় কার্যালয়ের ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনশেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের নির্বাচনে কৃষি সম্পত্তি ৫ দশমিক ২১ একর দেখিয়েছেন। পরবর্তীতে দুদকের অনুসন্ধানে ২৯ একরের সন্ধান পাওয়া যায়। সে সময় দুদক বিষয়টি তদন্ত করে বের করলেও ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি।’
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা দুর্নীতি করলে আমাদের সন্তানরাও সেটাকে স্বাভাবিক হিসেবে ধরে নেবে। এটা দেশের জন্য, সমাজের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। সন্তানের কাছে ঘুষখোর হিসেবে পরিচিত হওয়ার চেয়ে লজ্জার কিছু হতে পারে না। এদিকে, দুপুরে সিলেট নগরীর রিকাবিবাজারের কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে দুদকের গণশুনানিতে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন দুদক চেয়ারম্যান। গণশুনানিতে ৭৩টি অভিযোগের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।