ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ চূড়ান্ত না হলেও নির্বাচনি প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। এ ক্ষেত্রে বাম দলগুলোর নেতারাও পিছিয়ে নেই। সম্ভাব্য প্রার্থীরাও নিজ নিজ নির্বাচনি এলাকায় ছুটছেন। দলের শীর্ষ নেতারাও কোন আসনে কার জনপ্রিয়তা বেশি তার খোঁজখবর নিচ্ছেন। নিজ দলের প্রার্থী তালিকা তৈরি করছেন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি জোটের বাইরে থাকা বাম দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া যায়।
এসব বামগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ, বাংলাদেশ জাসদ, গণসংহতি আন্দোলন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাসদ (মার্কসবাদী), বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টিসহ বেশ কয়েকটি বামপন্থি রাজনৈতিক দল।
এ প্রসঙ্গে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘দলের নেতা-কর্মীরা নির্বাচনি এলাকায় কাজ করছেন। আমরাও খোঁজখবর রাখছি। নির্বাচনের সময় হলে জনপ্রিয়তা-গ্রহণযোগ্যতা অনুযায়ী দলের নীতিনির্ধারণী ফোরামের বৈঠক করে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হবে।’
বাংলাদেশে কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সভাপতি শাহ আলমের নির্বাচনি এলাকা চট্টগ্রাম-১২। গত দুই ঈদে নির্বাচনি এলাকায় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করেছেন তিনি। সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সের নির্বাচনি এলাকা খুলনা-২। ইতোমধ্যে কয়েক দফা নির্বাচনি এলাকায় ঘুরে এসেছেন তিনি। গাইবান্ধায় নির্বাচনি এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন সিপিবির সহকারী সম্পাদক মিহির ঘোষ। বাংলাদেশের জাসদ সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়ার নির্বাচনি এলাকা নড়াইল-১। গত ঈদে তিনি নির্বাচনি এলাকার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সময় পার করছেন। চষে বেড়িয়েছেন নির্বাচনি এলাকা। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধানের আসন পঞ্চগড়-১। তিনিও ঈদে নির্বাচনি এলাকায় চষে বেড়াচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে শরীফ নুরুল আম্বিয়া বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা হলেই আমরা প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করব। কারা কোন আসনে প্রার্থী হতে চান সেটা আমাদের কাছে তালিকা আছে। এ নিয়ে আমরা কাজ করছি।’ গণ সংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকির নির্বাচনি এলাকা ঢাকা-১২ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬। তার দলের অন্য নেতারাও নির্বাচনি এলাকায় চষে বেড়াচ্ছেন। জোনায়েদ সাকি নিজেও বিভিন্ন জেলায় সাংগঠনিক সফর করছেন। এ প্রসঙ্গে জোনায়েদ সাকি বলেন, শুধু নিজ নির্বাচনি এলাকাই নয়, সারা দেশেও ঘুরে বেড়াচ্ছি। সাংগঠনিক শক্তিশালী এলাকায় আমরা প্রার্থী ঠিক করে রাখছি। ভোটের তারিখ ঘোষণা করা হলেই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বাগেরহাট থেকে নির্বাচন করবেন। যশোরে বিভিন্ন কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ। বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাসদের (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু ও সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আবদুল আলী এখন গণসংযোগে ব্যস্ত রয়েছেন।