কাতারের পর এবার ইহুদিবাদী নেতা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর তথাকথিত ‘গ্রেটার ইসরায়েল’ ধারণার তীব্র নিন্দা জানালো জর্ডানও। নেতানিয়াহুর ‘গ্রেটার ইসরায়েল’ ধারণাকে জর্ডান আঞ্চলিক সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন হিসেবে দেখছে।
এর আগে, মঙ্গলবার এক মন্ত্রিসভা বৈঠকে নেতানিয়াহু গাজা ও অধিকৃত পশ্চিম তীর নিয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন। এতে স্থায়ীভাবে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের ওপর ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণ সমর্থন করে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও তার বক্তব্যের সরাসরি উদ্ধৃতি প্রকাশিত হয়নি। তবে জর্ডান তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
জর্ডানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সুফিয়ান কুদাহ একে ‘ভ্রান্ত উসকানি’ ও জাতিসংঘ সনদের স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, এসব বক্তব্য ‘জর্ডান বা আরব বিশ্বকে দুর্বল করতে পারবে না এবং ফিলিস্তিনি জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকার মুছে দিতে পারবে না।’
তিনি আরও বলেন, এই ধরনের মন্তব্য সংঘাতকে উসকে দেয় এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে বিপন্ন করে। জর্ডান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, ইসরায়েলি নেতাদের ‘গ্রেটার ইসরায়েল’ পরিকল্পনা এখন অনেকটা ‘ওপেন সিক্রেট’। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই পরিকল্পনা নিয়ে আরও বিশদ জানান ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, গ্রেটার ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার ‘ঐতিহাসিক ও আধ্যাত্মিক মিশন’ রয়েছে তার।
সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু ইঙ্গিত দেন, এই পরিকল্পনায় বর্তমান ইসরায়েল ভূখণ্ডের সঙ্গে একীভূত করা হবে ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের জন্য নির্ধারিত এলাকাগুলোও এবং সম্ভবত বর্তমান জর্ডান ও মিশরের কিছু এলাকাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর।
বিডি-প্রতিদিন/শআ